Modern seed production technology – আধুনিক বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি (কৃষিবিদ ড. মোঃ আখতারুজ্জামান)
আমার কথা
সময়ের পথ বেয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে যে কোনো পুস্তক সংকলন বা পুস্তক রচনা করা এখন অনেকখানি সহজতর হয়েছে! তবে বাস্তবতার সাথে সম্পৃক্ত না থেকে কোনো কারিগরি পুস্তক রচনা করতে গেলে সেখানে লেখনীর স্বকীয়তা ও সাবলীলতা খর্ব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তদুপরি বইয়ের শিরোনামের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়বস্তু এবং সেগুলোর ধারাবাহিক বিন্যাসও একটা বড়ো ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। পাঠকের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে ভাষার প্রাঞ্জলতা ও মাধুর্যতার মতো বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টি না দিলে পুস্তক সংকলনের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় এবং সেটার পাঠকপ্রিয়তা খর্ব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব বিষয়গুলো বিশেষভাবে বিবেচনায় রেখে আমা কর্তৃক সংকলিত “বীজ আইন বিধি ও প্রত্যয়নের আলোকে আধুনিক বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি” শিরোনামের এই বইটি লেখার চেষ্টা করেছি। পুস্তকটি সময়ের সমীকরণের আলোকে রচিত হলো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে আমার ৩২ বছরের অভিজ্ঞতালব্ধ কর্মকাল, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সিতে জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার হিসেবে তিন বছরাধিকালের প্রায়োগিক অভিজ্ঞতা এবং এতদসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের সাবলীল প্রয়োগের সন্নিবেশ রয়েছে এই পুস্তক রচনায়।
অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য ভালো বীজের কোনো বিকল্প নেই। শুধুমাত্র ভালো বীজ ব্যবহার করে ফসলের ফলন ১৫-২০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব। আবার ভালো বীজ উৎপাদন এবং বিপণনও একটা লাভজনক ব্যবসা। সত্যি বলতে বীজ উৎপাদন প্রযুক্তির ওপরে আধুনিক তথ্য উপাত্ত সংবলিত একটা পূর্ণাঙ্গ পুস্তক বাজারে খুঁজে পাওয়া বিরল। আবার বীজ প্রত্যয়নের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও সাধারণ মানুষের জানার মতো কোনো একক পুস্তক নেই। এসব কথা মাথায় রেখে আমি আমার বীজ বিষয়ক বাস্তব অভিজ্ঞতা ও তাত্ত্বিক জ্ঞানের অপূর্ব সমন্বয়ের চেষ্টা করছি এই বইটিতে।
কৃষকের বীজ চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হয়ে থাকে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষক ভাইদের উৎপাদিত বীজ থেকে। আর হাইব্রিড সহ কিছু বীজ আছে যেসব বীজের জন্য কৃষক ভাইদেরকে নির্ভর করতে হয় সরকারি বেসরকারি বীজ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের ওপরে। একই বিষয়টি প্রযোজ্য চারা কলমের ক্ষেত্রেও। মানসম্পন্ন চারা কলমের জন্য বেশিরভাগ সময়ই কৃষক দ্বারস্থ হন সরকারি বেসরকারি কোনো নার্সারির ওপরে। সরকারি নার্সারিতে উৎপাদিত চারা কলমের গুণগতমান নিয়ে সেসব প্রতিষ্ঠানের একটা দায়বদ্ধতা থাকলেও এ ব্যাপারে হাটবাজার থেকে নামসর্বস্ব নার্সারি হতে চারা কলম কিনে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। তাই এই পুস্তকের মধ্যে চারা কলম কীভাবে নিজেরা মানসম্পন্ন উপায়ে তৈরি করতে পারেন সে ব্যাপারেও একটা সম্যক ধারণা প্রদান করা হয়েছে। আবার কৃষক ভাইয়েরা নিজেরা যে বীজ উৎপাদন করেন সে সম্পর্কে সঠিক নিয়মকানুন না মেনে চলার কারণে নিজের উৎপাদিত বীজ থেকেও অনেক সময় আশানুরূপ মানসম্পন্ন চারা অঙ্কুরিত হয় না। এসব নানান ধরনের বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে আধুনিক বীজ প্রযুক্তির এই বইটি সংকলন করা হয়েছে। আবার কেউ যদি নিজেরা মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন করে বীজ ব্যবসা করতে চান তাহলে তারা কীভাবে কী করবেন এ ব্যাপারে বীজ নীতি আইন বিধি এবং বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির বিস্তারিত ভূমিকা সম্পর্কেও বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি, বীজ উৎপাদক, বীজ ব্যবসায়ী ও বীজ ব্যবহারের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কৃষক, সম্প্রসারণকর্মী, কৃষি শিক্ষার ছাত্র, কৃষি শিক্ষক, কৃষি গবেষক সবার জন্য এটা একটা বিষয়ভিত্তিক ও সময়োপযোগী গ্রহণযোগ্য পুস্তক হিসেবে বিবেচিত হবে। সংশ্লিষ্ট সকলেই বইটি পড়ে বীজ আইন ও বিধির আলোকে আধুনিক বীজ প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেক বাস্তবসম্মত তথ্য জানতে, বুঝতে ও শিখতে সক্ষম হবেন।
এটি একটি সংকলিত পুস্তক। এখানে সংগৃহীত ও সংকলিত কারিগরি তথ্যসমূহ বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট সূত্র থেকে নেওয়া হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি সঠিক এবং আপডেট তথ্যের সমন্বয়ে এই পুস্তকটি রচনা করতে। তা সত্ত্বেও এখানে যদি মুদ্রণজনিত কোনো ত্রুটি বা তথ্য বিভ্রাট থেকে থাকে তাহলে সেটা নিছকই অনিচ্ছাকৃত অথবা আমার জানার বাইরে। তাই আমার সেই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য আমার সুপ্রিয় পাঠকদের তরে সবিনয় অনুরোধ রইল। সেই সাথে এই পুস্তক-সংকলন সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো পরামর্শ, সংশোধনী, পরিবর্তন, পরিবর্ধন পরবর্তী সংস্করণে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি এবং এ ব্যাপারে ‘প্রান্ত প্রকাশন’র স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক জনাব আমিনুর রহমানও আমার সাথে সহমত পোষণ করেছেন।
আমার এই লেখালেখির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য যাঁদের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে সবিশেষ উৎসাহ ও উদ্দীপনা পেয়েছি, তাঁরা হলেন, সর্বজনাব হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ), কৃষি মন্ত্রণালয়, ঢাকা; ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন), কৃষি মন্ত্রণালয়, ঢাকা; ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার পান্না, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, ঢাকা; বন্ধুবর ড. মোঃ নাজিরুল ইসলাম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, গাজীপুর; ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, গাজীপুর; বন্ধুবর বিধান কুমার ভান্ডার, মহাপরিচালক, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট, ঢাকা; বন্ধুবর ড. মোঃ আমজাদ হোসেন, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট, ঈশ্বরদী, পাবনা; আমার শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক ড. এ এস এম জিয়াউল করিম, সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; অপর সম্মানীয় শিক্ষক মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ড. মোঃ আবুল হাশেম, সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; অগ্রজ ড. সৈয়দ মোঃ জয়নুল আবেদীন, সাবেক পদস্থ কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; অশোক কুমার শর্মা, সাবেক পদস্থ কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; বন্ধুবর ড. মোঃ এছরাইল হোসেন, সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউট, নশিপুর দিনাজপুর; বন্ধুবর কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী, সাবেক পরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা প্রমুখ সম্মানীয়, বরেণ্য ও বিদগ্ধজন। এঁদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
এই পুস্তকের ভাষাগত দিক, বানান শুদ্ধিকরণ এবং এটার প্রুফ দেখার প্রাথমিক কাজে আমাকে বিশেষভাবে সহায়তা করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ুয়া আমার একমাত্র আত্মজা শারারা অরণী। সারাক্ষণ আমাকে উৎসাহ প্রদান করেছেন আমার সহধর্মিনী শাহানারা বেগম শেলী, উপপরিচালক, বাংলাদেশে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, মাগুরা এবং ভার্চুয়াল সহযোগিতা ও পুনঃপুন মানসিক শক্তি জুগিয়েছে একমাত্র কর্মজীবী পুত্র শানানুজ্জামান অঙ্কন এবং বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ কনিষ্ঠ সহোদর শ ম কামরুজ্জামান।
অতএব, এই পুস্তক সংকলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যাঁরা আমাকে সহায়তা করেছেন, উৎসাহ ও উদ্দীপনা দিয়েছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ ও অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এতদ্ব্যতীত, যাঁদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে মনে করতে পারিনি, তাঁদের কাছে বিনম্র ক্ষমা চাইছি।
– কৃষিবিদ ড. মোঃ আখতারুজ্জামান।
সূচিপত্র
ggg
আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook
ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে = Geo Grow Bag
ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 HIGH QUALITY GARDENING TOOLS
গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 ORGANIC FERTILIZERS AND PESTICIDES
Reviews
There are no reviews yet.