Agriculture information of Bangladesh
- মোট পরিবার সংখ্যা: ২,৮৬,৯৫,৭৬৩
- মোট আবাদযোগ্য জমি: ৮৫,৭৭,৫৫৬.৫৫ হেক্টর
- আবাদযোগ্য পতিত জমি: ২,২২,৯৭৭.২২ হেক্টর
- ফসলের নিবিড়তা: ১৯৪%
- এক ফসলি জমি: ২২,৫২,৪৩৮.১৮ হেক্টর
- দুই ফসলি জমি: ৩৯,১৩,৬৪১.৬৯ হেক্টর
- তিন ফসলি জমি: ১৭,৬২,৭৭৭.৭১ হেক্টর
- জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান: ১৪.২২ (স্থির মূল্যে)
- কৃষিতে নিয়োজিত জনশক্তি: ২,৫৩,৯৮,০০০ (১৫ বছরের ঊর্ধ্বে)
মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন
- চাল: ৩,৪৭,০৯৬৬০ মে.টন
- গম: ১,৩৪,৮১৮৬ মে. টন
- ভুট্টা: ২,২৪,৫৫৭৮ মে.টন
মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন
- চাল: ৩,৪৭,০৯৬৬০ মে.টন;
- গম: ১,৩৪,৮১৮৬ মে. টন
- ভুট্টা: ২,২৪,৫৫৭৮ মে.টন
(সূত্র: বিবিএস, ২০১৭)
কৃষি মৌসুম :
বাংলাদেশে কৃষি মৌসুমকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়
১. রবি মৌসুম: ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ (কার্তিক থেকে ফাল্গুন)
২. খরিপ-১ মৌসুম: ১৪ মার্চ থেকে ১৫ জুলাই (চৈত্র-আষাঢ়)
৩. খরিপ-২: ১৬ জুলাই থেকে ১৫ অক্টোবর (শ্রাবণ-আশ্বিন)
ধানের মৌসুম :
ধান এখন সারাবছরই হয়। কিছু আছে স্থানীয় জাত, কিছু হচ্ছে উফশী (উচ্চ ফলনশীল) জাত। ধান চাষের মৌসুমকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন: আউশ-আমন-বোরো।
আউশ
কৃষি জলবায়ু অঞ্চলভেদে মূলত বৃষ্টির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আউশের বীজ বোনা শুরু হয় ফাল্গুন মাস (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে চলে আষাঢ় মাস পর্যন্ত (১৫ জুলাই)। আর বোনার সময় ভেদে জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে) মাসে শুরু হয়ে কাটা চলে আশ্বিন মাস (১৫ অক্টোবর) পর্যন্ত।
আমন
অন্য দিকে আমনের বীজ বীজতলায় পড়তে শুরু করে আষাঢ় মাসের দ্বিতীয় পক্ষ থেকে (১৫ জুলাই)। রোয়া শুরু হয় শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় পক্ষ থেকে (১৫ আগস্ট) আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত (১৫ সেপ্টেম্বর)। নিচু জমি যেখানে বর্ষার শুরুতেই এক থেকে দেড় ফুট পানি দাঁড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল সেই সমস্ত
অঞ্চলে অবশ্যই আলোক সংবেদনশীল দীর্ঘমেয়াদি আমন ধানের বীজ মূল জমিতে সরাসরি বোনা হয় চৈত্র মাসের মাঝামাঝি (১৫ এপ্রিল) থেকে। আমন কাটা শুরু হয় কার্তিক মাসের মাঝামাঝি (অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ), চলে পৌষ মাস পর্যন্ত (১৫ জানুয়ারি)। সর্বভারতীয় স্তরে অবশ্য আউশ ও আমনকে একসঙ্গে মিশিয়ে খরিপ ধান বলা হয়।
বোরো
বোরো ধানের বীজ বীজতলায় পড়তে শুরু করে অগ্রহায়ণ মাস (১৫ নভেম্বর) থেকে। রোয়া চলে মাঘ মাসের প্রথম পক্ষ পর্যন্ত (৩১ জানুয়ারি)। কাটা শুরু হয় চৈত্র মাসের শেষাশেষি (২১ এপ্রিল থেকে)। শেষ হতে হতে জ্যৈষ্ঠ মানের প্রথম পক্ষ (১৫ মে)।
নিট ফসলি জমি (Net Cropped Area)
যে জমিতে সারা বছর ফসল হলেও গণনার হিসাবে শুধুমাত্র একবারই বিবেচনা করা হয় নিট ফসলি জমি সবসময় মোট ফসলি জমি অপেক্ষা কম হবে।
মোট ফসলি জমি (Gross Cropped Area)
বছরে এক বা একাধিক চাষযোগ্য জমির সম্মিলিত যোগফলই হলো মোট ফসলি জমি। অর্থাৎ মোট ফসলি জমি: এক ফসলি × ১+ দুই ফসলি জমি × ২+তিন ফসলি জমি × ৩ = মোট ফসলি জমি।
শস্যের নিবিড়তা (Cropping intensity)
একটা জমিতে বছরে কতবার ফসল চাষ হচ্ছে সেটাই হলো ঐ এলাকার শস্য নিবিড়তা। কোনো এলাকার শস্য নিবিড়তা ৩০০% অর্থ সেখানকার সকল জমিতে বছরে তিনবার ফসল চাষ হয়ে থাকে। মোট ফসলি জমিকে, নিট ফসলি দিয়ে ভাগ করে সেটার শতকরা হারই হলো শস্য নিবিড়তা। যেমন: ভারতের মোট ফসলি জমি ১৯১ মি. হেক্টর এবং নিট ফসলি জমি ১৪১ মি. হেক্টর; তাহলে ভারতে শস্য নিবিড়তা: ১৯৫-১৪১×১০০ = ১৩৮%।
চাষি শ্রেণি
জমির ভিত্তিতে আমাদের দেশের চাষিদের মোট পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়:
- ভূমিহীন চাষি (০.০-০,০৪৯ একর)
- প্রান্তিক চাষি (০.০৫-১.৪৯ একর)
- ক্ষুদ্র চাষি (১.৫০-২.৪৯ একর)
- মাঝারি চাষি (২.৫০-৭.৪৯ একর)
- বড় চাষি (৭.৫০ একর বা তার বেশি)
অবস্থান অনুযায়ী জমির প্রকারভেদ:
জমি উঁচু না নিচু না কিছু মাঝামাঝি, এসব বিবেচনায় জমিকে মোট পাঁচভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে: .
১. উঁচু জমি
যে জমি বর্ষাকালে স্বাভাবিক বন্যায় প্লাবিত হয় না। এরূপ জমিকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন- (ক) উত্তম নিষ্কাশিত উঁচু জমি, যেখানে অতি বর্ষণের পরেও জমিতে আইল বেঁধে ২-১ দিনের বেশি পানি আটকে রাখা যায় না এবং (খ) কিঞ্চিৎ মন্দ নিষ্কাশিত উঁচু জমি, যেখানে বর্ষাকালে সাধারণত আইল বেঁধে পানি আটকে রাখা যায় এবং রোপা আমন করা সম্ভব।
২. মাঝারি উঁচু জমি
যে জমি বর্ষাকালে স্বাভাবিক বন্যায় সর্বোচ্চ ৯০ সেন্টিমিটার (প্রায় তিন ফুট) গভীরতা পর্যন্ত ক্রমাগত দুই সপ্তাহের বেশি থেকে কয়েক মাস প্লাবিত থাকে। মাঝারি উঁচু জমিকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন (১) অতি সামান্য প্লাবিত মাঝারি উঁচু জমি, যেখানে উফশী রোপা আমন করা সম্ভব এবং (২) সামান্য প্লাবিত মাঝারি উঁচু জমি, যেখানে উফশী রোপা আমনের জন্য অত্যধিক প্লাবিত বলে গণ্য।
৩. মাঝারি নিচু জমি
যে জমি বর্ষাকালে স্বাভাবিক বন্যায় ৯০ সেন্টিমিটার থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার (প্রায় ৩ ফুট থেকে ৬ ফুট) পর্যন্ত গভীর পানিতে ক্রমাগত কয়েক মাস প্লাবিত থাকে।
৪. নিচু জমি
যে জমি বর্ষাকলে স্বাভাবিক বন্যায় ১৮০ সেন্টিমিটার থেকে ২৭৫ সেন্টিমিটার (প্রায় ৬ ফুট থেকে ৯ ফুট) পর্যন্ত গভীর পানিতে ক্রমাগত কয়েক মাস প্লাবিত থাকে।
৫. অতি নিচু জমি
যে জমি বর্ষাকালে ২৭৫ সেন্টিমিটার (৯ ফুট) এর অধিক গভীরতা পর্যন্ত ক্রমাগত কয়েক মাস প্লাবিত থাকে।
মাটি বা মৃত্তিকা
মাটি হলো পৃথিবীর উপরিভাগের নরম ও দানাদার আবরণ। পাথর 4 গুঁড়ো হয়ে সৃষ্ট দানাদার কণা এবং জৈব পদার্থ মিশ্রিত হয়ে মাটি গঠিত হয়। জৈব পদার্থের উপস্থিতিতে ভূমিক্ষয় বিচূর্ণীভবন ইত্যাদি প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পাথর থেকে মাটির উদ্ভব হয়েছে। সেই কারণে অতি প্রাচীনকালের মাটি পৃথিবীতে পাওয়া যায় না। ভূ-ত্বক, জলস্তর, বায়ুস্তর এবং জৈবস্তরের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে পাথর থেকে মাটি তৈরি হয়। [১] শুকনো গুঁড়ো মাটিকে সাধারণভাবে ধুলো বলা হয়। মাটিতে খনিজ এবং জৈব পদার্থের মিশ্রণ রয়েছে। এর উপাদানগুলো কঠিন,
তরল ও বায়বীয় অবস্থায় বিদ্যমান। মাটির কশাগুলো আলগাভাবে যুক্ত, ফলে এর মধ্যে বাতাস ও পানি চলাচলের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। এজন্য মাটিকে বিজ্ঞানীরা ক্রি. দশা পদার্থ (Three state system) বলে অভিহিত করেন।
মৃত্তিকার ভৌত গঠন
মাটি একটি প্রাকৃতিক বস্তু। ক্ষয়ীভূত শিলা ও খনিজের সাথে জৈব পদার্থ ও পানি মিশ্রিত হয়ে দিনে দিনে মৃত্তিকা উৎপন্ন হয়। কোনো মৃত্তিকা নমুনা বিশ্লেষণ করলে কঠিন, তরল এবং বায়বীয় আকারে নিম্নরূপ দ্রব্য পাওয়া যায়: (ক) খনিজ পদার্থ ৪৫%; (খ) জৈব পদার্থ-৫%; (গ) বায়ু: ২৫%; ও (ঘ) পানি: ২৫%।
ক. খনিজ দ্রব্য
নুড়ি বা প্রস্তর, বালি কণা, পলি কণা ও কর্দম কণা। এদের প্রকার পরিমাণভিত্তিক মৃত্তিকাভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।
খ. জৈব পদার্থ
(১) বিয়োজনশীল জৈব পদার্থ প্রয়োগকৃত জৈব সার, ফসলের অবশিষ্টাংশ। (২) অবিয়োজিত উদ্ভিদাংশ স্কুল শিকড় ও শাখা-প্রশাখা, অন্যান্য উদ্ভিদাংশ। (৩) হিউমাস-জৈব পদার্থ বিয়োজিত হওয়ার পর সৃষ্ট কালচে পদার্থ; ও (৪) অণুজীব, প্রাণী, ব্যাকটেরিয়া, শ্যাওলা, ছত্রাক অ্যাক্টিনোমাইসেটিস, কেঁচো ও পোকা-মাকড় ইত্যাদি।
গ. পানি
সেচ ও বৃষ্টির পানি এবং নদী উৎস থেকে প্রাপ্ত পানি।
ঘ. বায়ু
মৃত্তিকা কণার ফাঁকে অবস্থানরত বায়ুমণ্ডলীয় বায়ু। এছাড়া মাটিতে কঠিন পদার্থের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, ফেরাস অক্সাইড, সিলিকন ডাই- অক্সাইড।
মৃত্তিকার বুনট (Soil texture)
কোনো মৃত্তিকায় বিভিন্ন আকারের একক কণার পারস্পরিক অনুপাত দ্বারা সৃষ্ট স্থূলতা বা সূক্ষ্মতাকে মাটির বুনট বলে। বিভিন্ন আকারের বালি, পলি এবং কর্দম কণা বিভিন্ন অনুপাতে মিশে একটি বিশেষ বুনট শ্রেণির মৃত্তিকা সৃষ্টি করে।
বুনট মৃত্তিকার একটি মৌলিক ও স্থায়ী ধরনের ধর্ম। মৃত্তিকার ভৌত গুণাবলি বুনটের ওপর নির্ভর করে। বিভিন্ন বুনটের মৃত্তিকার ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগত কারণের জন্য এক এক শ্রেণির মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা এক এক রকম এবং এক এক ফসলের জন্য বিশেষ উপযোগী। আন্তর্জাতিক পদ্ধতির আওতায় মৃত্তিকাকে ১২টি বুনট শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে।
এর কারনঃ
মৃত্তিকার এই শ্রেণি বিভাগ বিভিন্ন ব্যাসের মৃত্তিকা কণার অনুপাতের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পদ্ধতির আওতায় মৃত্তিকাকে ১২টি বুনট শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। মৃত্তিকার এই শ্রেণিবিভাগ বিভিন্ন ব্যাসের মৃত্তিকা কণার অনুপাতের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
ক্র / নং | বুনট শ্রেণি | বালি (%) | পলি (%) | কর্দম (%) |
১ | বেলে মাটি | ৮৮-১০০ | ০৩-০৭ | ০০-০৮ |
২ | বেলে দো- আঁশ | ৭০-৯২ | ০০-০৭ | ০৮-২৯ |
৩ | দো- আঁশ – বেলে | ৬৩-৮৮ | ০৩-২৫ | ০০-১২ |
৪ | দো- আঁশ | ৫০-৭৬ | ১০-২৫ | ১২-২৬ |
৫ | পলি | ০০-৫০ | ৫০-১০০ | ০০-২৬ |
৬ | পলি দো- আঁশ | ২৫-৭৪ | ২৫-৫০ | ০০-২৬ |
৭ | এঁটেল | ০০-৬৩ | ০০-২৫ | ৩১-১০০ |
৮ | পলি এঁটেল | ০০-৩৪ | ২৫-৬০ | ৪০-৭৫ |
৯ | বেলে এঁটেল | ৪৫-৫৬ | ০০-২০ | ৩৪-৪০ |
১০ | পলি এঁটেল দো- আঁশ | ০০-২০ | ৪০-৭৩ | ২৭-৪০ |
১১ | এঁটেল দো- আঁশ | ২০-৪৫ | ১৫-৫৩ | ২৭-৪০ |
১২ | বেলে এঁটেল দো- আঁশ | ৬৩-৮৩ | ০০-১০ | ১৭-৩০ |
কৃষিকাজের সুবিধার্থে আমরা উপরের মোট ১২ রকমের মাটিকে সাধারণভাবে তিনটি ভাগে ভাগ করে থাকি।
১. এঁটেল মাটি: এ মাটির কণা সবচেয়ে ছোটো। এ মাটি শুকনা ও মসৃণ।
২. বেলে মাটি: এ মাটির কণা সবচেয়ে বড়ো। এ মাটি শুকনা এবং হাতে ধরলে দানাময় লাগে।
৩. দো-আঁশ মাটি: নরম ও শুকনা। এই মাটিতে হিউমাস থাকে।
আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook
ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে = Geo Grow Bag
দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 HIGH QUALITY GARDENING SEEDS
ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 HIGH QUALITY GARDENING TOOLS
গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 ORGANIC FERTILIZERS AND PESTICIDES
নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet