কামরাঙা ভিটামিন সি সম্পন্ন একটা ফল। সাধারণত ফল হিসেবে কাঁচা বা পাকা কামরাঙা বেশ জনপ্রিয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়ার অনেক দেশে ডায়াবেটিসসহ আরও কিছু রোগের চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে কামরাঙার রস একসঙ্গে অথবা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে অনেক দিন ধরে পান করে থাকে। কামরাঙায় রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। এছাড়াও রয়েছে দুটি বিশেষ উপাদান। যেমন- (১) অক্সালিক অ্যাসিড। (২) ক্যারাম্বক্সিন। অক্সালিক অ্যাসিড, টক অবস্থায় মিষ্টি অবস্থার চেয়ে বেশি থাকে।
কামরাঙার ক্ষতিকারক দিক:
সাধারণত যাদের কিডনি ভালো স্বাভাবিক পরিমাণে কামরাঙা খেলে তাদের কোনো ক্ষতি • হয় না। তবে এরা যদি অত্যধিক কামরাঙা বা রস অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণে অনেক দিন গ্রহণ করে তাহলে শরীরে অতিমাত্রায় অক্সালিক অ্যাসিড জমে গিয়ে অক্সালেট নেফ্রোপ্যাথি হয়ে কিডনি বিকল হতে পারে। তাছাড়া যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে, তারা যদি অল্প পরিমাণ কামরাঙা বা রস যেমন একটি বা কয়েক টুকরা কামরাঙা খেলেই কিডনি বিকল হয়ে যায়। অন্যদিকে যাদের ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর রয়েছে, তারা কামরাঙা খেলে অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় মানুষের মৃত্যুর হার বেশি। আগে মনে করা হতো কিডনি ফেইলিউরের মাত্রা বাড়ার কারণে এ অবস্থা হয়, কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা গেছে কামরাঙার ক্যারাম্বক্সিন নামক উপাদানের জন্য এ অবস্থা হয়। আসলে তা নয়, যাদের কিডনি ভালো তারা স্বাভাবিক পরিমাণ কামরাঙা খেতে পারবেন। অত্যধিক পরিমাণ কামরাঙা খাওয়া এবং যাদের কিডনি সমস্যা আছে তারা কামরাঙা বা এর রস পান হতে পুরোপুরিভাবে বিরত থাকবেন।
বাড়ির ছাদে অতি সহজেই থাই মিষ্টি কামরাঙা চাষ করা যায়। এর চাষ পদ্ধতিও খুব সহজ। রোগবালাই নেই বললেই চলে। কলমের চারা থেকে যে কয়েকটি গাছ অতি দ্রুত ফল দেয় তার মধ্যে থাই মিষ্টি কামরাঙা অন্যতম। একটি কলমের চারা থেকে মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই কামরাঙা ফল পাওয়া সম্ভব। সারা বছরই কমবেশি কামরাঙা ফল গাছে থাকে তবে জুন-জুলাই এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বেশি পরিমাণে ফল পাওয়া যায়। ছোট টব এমনকি ১২ ইঞ্চি টবেও এর চাষ করা যায়, তবে হাফ ড্রামই যেকোনো ফল গাছ রোপণের জন্য ভালো। যেকোনো মাটিতেই মিষ্টি কামরাঙার চাষ সম্ভব, তবে দোআঁশ মাটিতে এর চাষ অধিক ভালো হয়। আর ছাদে কামরাঙা চাষের জন্য টবের আদর্শ মিশ্রণ তৈরি করে নিলেই চলবে।
কামরাঙার চাষ পদ্ধতি:
ছাদে কামরাঙার চারা/কলম লাগানোর জন্য হাফ ড্রাম অথবা সিমেন্টের পট বা জিও ব্যাগ নিয়ে তাতে এই বইয়ের “ছাদ বাগানের জন্য মাটি প্রস্তুত ও চারা রোপণ” অধ্যায়ে ছাদ বাগানের জন্য “ছাদ বাগানের জন্য আদর্শ মাটি তৈরি করত সেখানে কামরাঙা গাছের চারা/কলম রোপণ করতে হবে। চারা গাছটিকে সোজা করে সঠিকভাবে রোপণ করতে হবে। তারপর গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে হাত দিয়ে মাটি চেপে চেপে দিতে হবে। ফলে গাছের গোড়া দিয়ে পানি বেশি ঢুকতে পারবে না। একটি সোজা চিকন লাঠি দিয়ে গাছটিকে বেঁধে দিতে হবে। চারা রোপণের শুরুর দিকে পানি অল্প দিলেই চলবে। পরে ধীরে ধীরে পানি দেওয়া বাড়াতে হবে। তবে গাছের গোড়ায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না। মাটিতে রসের ঘাটতি দেখা দিলে প্রয়োজনমতো গাছে সেচ দিতে হবে। তবে বর্ষাকালে কামরাঙা কলম রোপণ করলে কোনো পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য পরিচর্যা : বিভিন্ন পরিচর্যা সহ প্রতিবছর দু’বার সার প্রয়োগের জন্য “ছাদ বাগানের নিয়মিত পরিচর্যা” অধ্যায়ের খুঁটিনাটি অনুসরণ করুন।
কামরাঙার বিশেষ পরিচর্যা:
ছাদের গাছে সাধারণত ফল বড় হওয়ার সাথে সাথে পাখির উপদ্রব বেড়ে যায়। সে জন্য গাছটিকে একটি নেট দিয়ে ঢেকে দিলে ভালো হয়। নইলে পাখির উপদ্রুপে কামরাঙা চাষ অরণ্য রোদনে পরিণত হতে পারে। এছাড়া কামরাঙার বেশকিছু পোকামাকড় ও রোগবালাই রয়েছে। সুতরাং, সে ব্যাপারে ছাদ বাগানীদের একটা সম্যক ধারণ থাকা দরকার।
কামরাঙার কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা:
কীড়া গাছের কাণ্ড ছিদ্র করে এবং আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ করে বাকল খেতে থাকে। ছিদ্রের মুখে কালচে বাদামি চাপাতির গুঁড়োর মতো দানা দানা কীড়ার মল দেখা যায়। ফলে গাছে খাদ্য ও পানি চলাচল ব্যাহত হয়।
ব্যবস্থাপনা :
১. ছিদ্রমুখের মল পরিষ্কার করে পেট্রোল/কেরোসিন তেল বা ক্লোরোফর্মে এক টুকরো তুলো ভিজিয়ে ছিদ্রের মুখে ঢুকিয়ে ছিদ্রের মুখ নরম কাদা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। এতে কীড়া মারা যাবে।
২. আক্রান্ত গাছের কাণ্ডে প্রতি লিটার পানিতে ৩ মিলি লিটার পরিমাণ নিমবিসিডিন মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
৩. আলোক ফাঁদে এ পোকার মথকে আকৃষ্ট করে মেরে ফেলা যায়।
৪. ক্ষেত ও গাছের গোড়ার আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে।
কামরাঙার পরগাছা সমস্যা:
লক্ষণ : পরগাছা গাছের গায়ে জড়িয়ে থেকে গাছের পুষ্টিতে ভাগ বসায় এবং বৃদ্ধি ব্যাহত করে গাছের ক্ষতি করে।
দমন ব্যবস্থাপনা:
বর্ষার আগে বা ফুল আসার আগেই পরগাছা গাছ থেকে মূল/ শিকড়সহ কেটে ফেলা এবং কর্তিত স্থানে বোর্দো পেস্ট লাগিয়ে দেওয়া। পানিতে ডিজেল ও সাবান (২০০ মিলি, ডিজেল ও ১০ গ্রাম সাবান ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ইমালশন তৈরি করে পরগাছায় স্প্রে করেও পরগাছা দমন করা যায়। বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না। ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোঁটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডালপালা ও অতি ঘন ডালপালা ছাঁটাই করে পরিষ্কার করে দিন। কামরাঙার হুটেড হোপার পোকা : এ পোকা কচিপাতা ও কাণ্ডের রস চুষে খেয়ে গাছের ক্ষতি করে। এরা এক ধরনের মিষ্টি রস নিঃসরণ করে তাই শুটিমোল্ড ছত্রাকেরও আক্রমণ ঘটে। চিত্র: কামরাঙার হুটেড হোপার পোকা
ব্যবস্থাপনা:
১. পোকাসহ আকান্ত পাতা ও ডগা ছাঁটাই করে ধ্বংস করা।
২. সম্ভব হলে হাত দিয়ে ডিম বা বাচ্চার গাদা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।
৩. আক্রমণ বেশি হলে প্রতিলিটার পানিতে ২ মিলি রগর টাফগর, সানগর বা সুমিথিয়ন ২ মিলি মিপসিন মিশিয়ে স্প্রে করা।
সাবধানতা : বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।
করণীয়:
১. ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোঁটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডালপালা ও অতি ঘন ডালপালা ছাঁটাই করে পরিষ্কার করে দিন।
২. পরিষ্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালোভাবে স্প্রে করুন।
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
কামরাঙার ফল ছিদ্রকারী পোকা : এ পোকা ফল ছিদ্র করে ফলের ভিতরে ঢুকে ফলের মাংসল অংশ খেতে থাকে ও ফল পচে যায় এবং খাবার অনুপযোগী হয়ে যায়।
চিত্র: কামরাঙার ফল ছিদ্রকারী পোকা
ব্যবস্থাপনা :
১. নষ্ট ফল বাগান থেকে অপসারণ করা।
২. টাফগার ২ মি.লি./লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
সাবধানতা: বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।
করণীয়:
১. ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোঁটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডালপালা ও অতি ঘন ডালপালা ছাঁটাই করে পরিষ্কার করে দিন।
২. পরিষ্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালোভাবে স্প্রে করুন।
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
কামরাঙার বিছা পোকা : এরা গাছের নতুন পাতা খেয়ে ক্ষতি সাধন করে কখনও কখনও ফলেও আক্রমণ করে।
ব্যবস্থাপনা :
১. পাতায় ডিমের গাদা দেখলে তা তুলে ধ্বংস করতে হবে।
২. ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে, তখন পোকাসমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারতে হবে।
৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।
সাবধানতা: বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।
করণীয়:
১. ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোঁটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডালপালা ও অতি ঘন ডালপালা ছাঁটাই করে পরিষ্কার করে দিন।
২. পরিষ্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক আরা পুরো গাছ ভালোভাবে স্প্রে করুন।
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
কামরাঙার উইপোকা : এটি কামরাঙার জন্য তেমন ক্ষতিকর না হলেও কখনও কখনও শিকড় ও কাণ্ডের ক্ষতি করে।
ব্যবস্থাপনা :
১. রানিপোকাসহ উইপোকার ঢিবি ধ্বংস করা।
২. খাদ্য ফাঁদ ব্যবহার করা (মাটির হাঁড়িতে পাটকাঠি, ধৈঞ্চা রেখে জমিতে পুঁতে রেখে পরে তুলে উইপোকাগুলো মেরে ফেলা)।
৩. গাছে উইপোকার মাটি সরিয়ে দিয়ে পোকা মেরে ফেলা সম্ভব হলে পানি দিয়ে ধুইয়ে গাছ পরিষ্কার করে দেওয়া।
৪. অতি আক্রমণের ক্ষেত্রে ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক অনুমোদিত মাত্রায় কাণ্ডে ও গোড়ার মাটিতে স্প্রে করা।
সাবধানতাঃ বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।
করণীয়:
১. মাঝে মাঝে বাগানের মাটি চাষ দিয়ে দিন। এতে মাটিতে জীবনচক্রের কোনো স্তর বসবাস করে এমন পোকা মারা যাবে।
২. ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোঁটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডালপালা ও অতি ঘন ডালপালা ছাঁটাই করে পরিষ্কার করে দিবা
৩. পরিষ্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।
কামরাঙার আগা মরা রোগ : কামরাঙার এ রোগ দেখা দিলে পুরো গাছ বা গাছের ডাল আগা থেকে শুরু করে ক্রমশ নিচের দিকে মরে যেতে দেখা যায়। কামরাঙার এর ডাল ছত্রাকের আক্রমণে হয়।
ব্যবস্থাপনা:
১. আক্রান্ত গাছে সুষম মাত্রায় জৈবসার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা এবং নিয়মিত সেচ প্রদান করা।
২. সময়মত প্রুনিং করে, আক্রান্ত অংশ অপসারণ করে গাছ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩. কিছুটা সুস্থ অংশসহ আক্রান্ত অংশ কেটে পুরে ফেলা এবং কর্তিত অংশে বোর্দো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইট জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন- কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
৪. নতুন পাতা বের হলে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ব্যাভিস্টিন ডিএফ বা এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি বা আরবা ৫০ ডব্লিউপি বা নোইন ৫০ ডব্লিউপি বা গিলজিম ৫০ ডব্লিউপি ১ গ্রাম/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে ৭- ১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করা।
সাবধানতা : বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।
করণীয় :
১. ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোঁটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডালপালা ও অতি ঘন ডালপালা ছাঁটাই করে পরিষ্কার করে দিন।
২. পরিষ্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক যারা পুরো গাছ ভালোভাবে স্প্রে করুন।
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
কামরাঙার অ্যানথ্রাকনোজ রোগ : কামরাঙার অ্যানথ্রাকনোজ হলে কচিপাতায় অনিয়মিত দাগ দেখা যায়। কামরাঙার মুকুল কালো হয়ে যায়, কামরাঙার গুটি ঝরে যায়।
চিত্র: কামরাঙার অ্যানথ্রাকনোজ রোগ
দমন ব্যবস্থাপনা : সময়মত প্রুনিং করে গাছ ও বাগান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। গাছের নিচে ঝরে পড়া পাতা, মুকুল বা কামরাঙার গুটি অপসারণ করা। কার্বেন্ডাজিম বা ম্যানকোজেব ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ৩-৪ বার স্প্রে করা। বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখা যাবে না। ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোঁটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডালপালা ও অতি ঘন ডালপালা ছাঁটাই করে পরিষ্কার করে দিন। পরিষ্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালোভাবে স্প্রে করুন।
চারা/কলমের প্রাপ্তিস্থান : বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টারসমূহ, বিএডিসি’র এগ্রো সার্ভিস সেন্টার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে ভালো জাতের কামরাঙার চারা/কলম পাওয়া যায়। আবার বিশ্বস্ত ব্যক্তির কাছ থেকেও এসব চারা/কলম সংগ্রহ করতে পারেন।
আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook
গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 Organic Fertilizers and Pesticides
ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে 👉 Geo Grow Bag
দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 High Quality Gardening Seeds
ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 High Quality Gardening Tools
নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet