সফেদা অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। এটি দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। আকার ছোট ও গোলাকার। রং তামাটে ও খসখসে। শীতকালে যখন অন্যান্য দেশি ফল পাওয়া যায় না, তখন সফেদা পাওয়া যায়। কমবেশি সারা দেশে উৎপন্ন হয়। সফেদা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। এতে রয়েছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি ইত্যাদি। সফেদার জাত: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জার্মপ্লাজম সেন্টার ১৯৯১ সাল থেকে সফেদা নিয়ে গবেষণা করে আসছে। এ সেন্টার থেকে সফেদার তিনটি জাত অবমুক্ত করা হয়। জাতগুলো হলো- বাউ সফেদা-১, বাউ সফেদা-২, ও বাউ সফেদা-৩। এছাড়া বারি সফেদা-১ ও বারি সফেদা-৩ নামে দেশে আরও দুটি উন্নত জাতের সফেদার আবাদ হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের দেশে স্থানীয়ভাবেও বেশকিছু ভালো জাতের সফেদা পাওয়া যায়।
ছাদে সফেদার চাষ পদ্ধতি : ছাদে সফেদার চারা লাগানোর জন্য হাফ ড্রাম অথবা সিমেন্টের পট বা জিও ব্যাগ নিয়ে তাতে এই বইয়ের “ছাদ বাগানের জন্য মাটি প্রস্তুত ও চারা রোপণ” অধ্যায়ে ছাদ বাগানের জন্য “ছাদ বাগানের জন্য আদর্শ মাটি তৈরি করত সেখানে সফেদা গাছের কলম রোপণ করতে হবে। চারা গাছটিকে সোজা করে সঠিকভাবে রোপণ করতে হবে। তারপর গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে হাত দিয়ে মাটি চেপে চেপে দিতে হবে। ফলে গাছের গোড়া দিয়ে পানি বেশি ঢুকতে পারবে না। একটি সোজা চিকন লাঠি দিয়ে গাছটিকে বেঁধে দিতে হবে। চারা রোপণের শুরুর দিকে পানি অল্প দিলেই চলবে। পরে ধীরে ধীরে পানি দেওয়া বাড়াতে হবে।
তবে গাছের গোড়ায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না। মাটিতে রসের ঘাটতি দেখা দিলে প্রয়োজনমতো গাছে সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে সফেদার চারা রোপণ করলে কোনো পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
অন্যান্য পরিচর্যা: বিভিন্ন পরিচর্যা সহ প্রতিবছর দু’বার সার প্রয়োগের জন্য “ছাদ বাগানের নিয়মিত পরিচর্যা” অধ্যায়ের খুঁটিনাটি অনুসরণ করুন।
সফেদার পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন:
অনিষ্টকারী পোকামাকড়:
কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা : পোকার কীড়া গাছের বাকল ছিদ্র করে ভেতরে ঢোকে এবং বাকলের নিচের নরম অংশ খেয়ে গাছের সতেজতা নষ্ট করে। আক্রান্ত গাছের কাণ্ডে গর্ত থাকে এবং গর্তের মুখে কীড়ার নষ্ট করা বাকলের গুঁড়া বা বিষ্ঠা ঝুলে থাকতে দেখা যায়।
প্রতিকার : লোহার শিক দিয়ে গর্তের ভেতর থেকে কীড়া বের করে মেরে ফেলতে হবে। গর্ত যদি গভীর হয় তবে সিরিঞ্জ দিয়ে গর্তের ভেতর কেরোসিন বা কীটনাশক ঢুকিয়ে গর্তের মুখ তুলা দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে পোকা মারতে হবে। তবে কীটনাশক দিয়ে এই পোকা দমন করা বেশ কঠিন।
সাদা মাছি ও ছাতরা পোকা:
সাদা মাছি ও ছাতরা পোকা দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৫ থেকে ১০ গ্রাম ডিটারজেন্ট পাউডার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। অথবা এই পোকা দমনের জন্য কারটাপ প্রতি লিটারে ২.৫ এমএল অথবা পাইরিপ্রক্সিফেন ১০.৮% ১.৫ মিলি প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই দুটি পোকা নিয়ে এই পুস্তকের পরতে পরতে নানাবিধ আলোচনা হয়েছে।
রোগবালাই : সফেদাতে তেমন কোনো মারাত্মক রোগবালাই দেখা যায় না। তবে কখনও কখনও পাতার দাগ পড়া ও শুটিমোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে।
পাতায় দাগ পড়া রোগ : এ রোগের আক্রমণে পাতায় অসংখ্য হালকা ছোট ছোট গোলাপি বা লালচে বাদামি রঙের দাগ পড়ে। দাগগুলোর কেন্দ্রস্থল সাদাটে। এ রোগ সাধারণত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে দেখা যায়।
প্রতিকার : প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ডায়থেন এম-৪৫ মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর দু’বার সব গাছে স্প্রে করতে হবে।
চারা/কলমের প্রাপ্তিস্থান : বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টারসমূহ, বিএডিসি’র এগ্রো সার্ভিস সেন্টার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে ভালো জাতের সফেদার চারা/কলম পাওয়া যায়। আবার বিশ্বস্ত ব্যক্তির কাছ থেকেও সফেদার চারা/ কলম সংগ্রহ করতে পারেন।
আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook
ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে 👉 Geo Grow Bag
দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 High Quality Gardening Seeds
ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 High Quality Gardening Tools
গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 Organic Fertilizers and Pesticides
নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet