কমলা এবং মাল্টা লেবুজাতীয় এক ধরনের জনপ্রিয় ফল। তবে আমাদের দেশে আমরা যে কমলা খেয়ে থাকি সেগুলোর বেশিরভাগই আমদানির মাধ্যমে আসে বিভিন্ন দেশ থেকে। মাটি আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারণে কিছু কমলা জাতীয় ফল বৃহত্তর সিলেট জেলাতে উৎপাদিত হলেও সেটা আমাদের দেশীয় চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে পারে না। তবে কৃষিবিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলে এখন আমাদের গোটা দেশই বিভিন্ন জাতের কমলা ও মাল্টা চাষের জন্য উপযোগিতাপ্রাপ্ত হয়েছে। সেই সাথে ছাদ বাগানের জন্যও এটা বেশ উপযোগী। কমলা এবং মাল্টা আমাদের দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পছন্দনীয় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। আমরা কখনো কমলা এবং মাল্টার মধ্যে পার্থক্য করতে গিয়ে বেশ গুলিয়ে ফেলি। ইন্টারনেট জগতে কমলা ও মাল্টার মধ্যে যে পার্থক্য করা হয়েছে, সেটা আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীদের সংঙ্গার সাথে মেলে না। যেমন: অন্তর্জালের তথ্য বলছে- কমলা ও মালটার মধ্যে পার্থক্য বলতে বললে অনেকেই হয়তো পারবেন। কিন্তু এটা কয়জন জানেন যে, যেটাকে কমলা বলেন সেটা আসলে কমলা নয়! দুটোই Citrus Family এর অন্তর্ভুক্ত।
স্বাদ-গন্ধ, পুষ্টিমানের দিক থেকে একই মনে হলেও এদের বৈশিষ্ট্যগত কিছু পার্থক্য আছে। আমরা যেটাকে কমলা বলে চিনি তার প্রকৃত নাম হলো ট্যাঞ্জেরিনস (Tangerines)। ১৮০০শ শতকে পালাকতা ফ্লোরিডায় এর উৎপত্তি। সে সময় মরক্কোর ট্যাঞ্জিয়ার মধ্য দিয়ে এসব আমদানি করা হতো বলেই নাম হয়েছে ট্যাঞ্জেরিনস। এদের আবার ম্যান্ডারিনস নামেও ডাকা হয়। ট্যাঞ্জেরিনস মূলত এই ম্যান্ডারিনস এর সাব-গ্রুপ। দেখতে খুব একটা সু-দর্শন বা আকর্ষণীয় না। রং লাল সদৃশ কমলা। খোসা ছাড়ানো খুব সহজ। এটা কমলার তুলনায় বেশি মিষ্টি হয়। এটাতে ভিটামিন-এ এর পরিমাণ বেশি থাকে। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এটি সহজলভ্য। আর আমরা যেটাকে মালটা নামে চিনি, সেটাই আসলে কমলা (orange)। এটাও Citrus family এর অন্তর্ভুক্ত। এটি মূলত পমেলো ও ম্যান্ডারিন এর সমন্বয়ে একটি হাইব্রিড জাত। এর উৎপত্তি আমাদের এশিয়াতে। এটি ট্যাঞ্জেরিনস এর তুলনায়
চিত্র: কমলা ও মাল্টার ছবি (আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীদের ভাষ্যানুসারে
সু-দর্শন, আকার সুন্দর ও একদম গোলাকার হয়। রং হয় হলুদাভ কমলা। এদের খোসা তুলনামূলক অনেক মোটা। সহজে ছাড়ানো যায় না। তাই এদের সাধারণত খোসা সহ কেটেই সার্ভ করা হয়। এতে ভিটামিন-সি এর পরিমাণ বেশি। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এটি সহজলভ্য। আমাদের দেশে আসলে কমলা আর মালটা বলেই অভ্যন্ত। কিন্তু বাইরে কোনো দেশে গেলে যদি অরেঞ্জ চান, তাহলে মালটাই দিবে। তাই সেখানে যদি কমলা নিতে চান তাহলে ট্যাঞ্জেরিনস বা ম্যান্ডারিনস বলতে হবে। না দুটি আলাদা ফল, তবে একটা ভুল আমরা সবাই করি/জানি যে ইংরেজিতে যেটাকে Orange বলা হয় সেটাকেই আসলে আমরা মাল্টা বলে ডাকি (Citrus sinensis)। আর যেটাকে আমরা কমলা বলে ডাকি সেটার ইংরেজি নাম Mandarin orange (Citrus reticulata)। অন্যদিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সবশেষ কৃষি প্রযুক্তি হাত বইয়ের বর্ণনা বলছে: মিষ্টি কমলা বা Sweet orange (Citrus sinensis) বাংলাদেশে মাল্টা নামে পরিচিত। কমলার সাথে এর মূল পার্থক্য হলো কমলার খোসা ঢিলা কিন্তু মাল্টার খোসা সংযুক্ত (টাইট)। সাইট্রাস ফসলের মধ্যে মাল্টা অন্যতম জনপ্রিয় ফল। বিশ্বের সর্বমোট উৎপাদিত সাইট্রাস ফলের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ হচ্ছে মাল্টা। ভিয়েতনাম, উত্তর পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণ চীন মাল্টার আদি উৎপত্তি স্থান। তবে বর্তমানে এই ফলটি বিশ্বের উষ্ণ ও অব-উষ্ণমণ্ডলীয় এলাকায় বেশি চাষাবাদ হচ্ছে।
বাংলাদেশেও এই ফলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দিনদিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। কমলার তুলনায় এর অভিযোজন ক্ষমতা অধিক হওয়ায় পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকায় সহজেই এটি চাষ করা যাচ্ছে। উন্নত জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর উৎপাদন বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। সুতরাং কমলা ও মাল্টার বিতর্ক যেন আমাদের পিছু ছাড়ছে না। তবে আমাদের দেশের কৃষিবিজ্ঞানীরা যা বলছেন সেটাকেই আমরা সঠিক বলে আমাদের এই পর্বের আলোচনাকে অগ্রায়ন করতে চেষ্টা করব। লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে কমলা একটি জনপ্রিয় ফল। চাইনিজ মিষ্টি কমলা সুস্বাদু, সুগন্ধি এবং ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল। কমলার শুকানো ছাল অম্লরোগসহ ও শারীরিক দুর্বলতা নিরসনে কাজ করে। কমলা দিয়ে জ্যাম, জেলি, জুস তৈরি করা হয়ে থাকে। আমরা বাজার থেকে কমলা কেনার পাশাপাশি সুযোগ সুবিধা থাকলে চাইনিজ কমলা চাষ করতে পারি। বাংলাদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাণিজ্যিকভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে মিষ্টি চাইনিজ কমলা চাষ করলে আমাদের দেশেও উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে, আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বেশ কিছু কমলা ও মাল্টার জাত উদ্ভাবন করেছে; যেগুলো মূলত পাহাড়ি এলাকাতে ভালো জন্মে থাকে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর যাবৎ চাইনজি কমলা নামে এক ধরনের কমলা
দেশের বিভিন্ন এলাকাতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং সেগুলোর কলম তৈরি করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন এক শ্রেণির নার্সারি ব্যবসায়ীরা।
কমলার জাতসমূহ :
বারি কমলা-১ : ‘বারি কমলা-১’ জাতটি স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত জার্মপ্লাজম থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করে ১৯৯৬ সালে চাষের জন্য অনুমোদন করা হয়। ‘বারি কমলা-১’ মাঝারি আকৃতির খাড়া গাছ। পাতা মাঝারি, বল্লাকৃতির। পাতার বোঁটার সাথে ক্ষুদ্র উইং থাকে। এটি একটি নিয়মিত আগাম ফল প্রদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত (গাছপ্রতি ৩০০-৪০০টি ফল ধরে)। ফল বড়, ওজন ১৮০-২০০ গ্রাম ও প্রায় গোলাকৃতির হয়। পাকার পর হলদে রং ধারণ করে। ফলের খোসা ঢিলা, ফল রসালো ও মিষ্টি (টিএসএস ১০.২% এবং এসিড ১.১৯%)। হেক্টরপ্রতি ফলন ২০-২৫ টন। বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলায় চাষোপযোগী।
চিত্র: ‘বারি কমলা-১’
বারি কমলা-২: বাংলাদেশের ফলের ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন সংযোজন। এ কমলা গাছ মধ্যম আকৃতির এবং প্রতিবছর নিয়মিত ফল ধরে। ফল ৭-১২ সেমি আকৃতির প্রায় গোলাকার এবং ফলের গড় ওজন ৩৮ গ্রাম। সম্পূর্ণ পাকা অবস্থায় ফল ও ফলের শাঁস গাড় হলুদ রঙের হয়ে থাকে। ফলের খোসা ঢিলা, শাঁস রসালো ও খুব মিষ্টি (টিএসএস ১২%)। বীজ খুব ছোট আকৃতির। এ জাতের কমলা গাছে উল্লেখযোগ্য কোনো রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হয় না।
চিত্র: ‘বারি কমলা-২
বারি কমলা-৩ : নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চফলনশীল জাত। গাছটির পাতা তুলনামূলকভাবে বড় ও ঝোপালো। ফল গোলাকার ও বড় (গড় ওজন ১৭০ গ্রাম), দেখতে উজ্জ্বল কমলা বর্ণের। ফল পাকার পর হলুদ থেকে গাঢ় কমলা রং ধারণ করে। ফল সাধারণত এককভাবে ধরে। ফলের খোসা ঢিলা, শাঁস রসালো ও মিষ্টি (টিএসএস ১১.৫%)। ফলের অভ্যন্তরে ১০-১১টি খণ্ড বিদ্যমান এবং খাদ্যোপযোগী অংশ প্রায় ৭৯.৮%।
চাইনিজ কমলা : চাইনিজ কমলাকে কৃষিবিজ্ঞানীরা বারি কমলা-২ বলে অভিহিত করছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এই কমলা কখন কীভাবে এসে বাণিজ্যিক এসেছে সেটা একটা প্রশ্ন বটে। তবে সাধারণভাবে চাইনিজ কমলা বারি কমলা-২ থেকে আকারে খানিকটা ছোট এবং ফল ধারণক্ষমতা অনেক বেশি।
বারি মাল্টা-১: নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চফলনশীল জাত। গাছ খাটো, ছড়ানো ও অত্যধিক ঝোপালো। মধ্য-ফাল্গুন থেকে মধ্য-চৈত্র পর্যন্ত সময়ে গাছে ফুল আসে এবং কার্তিক মাসে ফল আহরণ উপযোগী হয়। ফল গোলাকার, মাঝারি আকৃতির (১৫০ গ্রাম)। ফলের দৈর্ঘ্য ৭ সেমি এবং প্রন্থ ৫ সেমি। পাকা ফলের রং সবুজ। ফলের পুষ্প প্রান্তে পয়সা সাদৃশ সামান্য নিচু বৃত্ত বিদ্যমান। ফলের খোসা মধ্যম পুরো ও শাসের সাথে সংযুক্ত। শাঁস হলুদাভ, রসালো, খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু (টিএসএস ৭.৮%)। গাছপ্রতি ৩০০-৪০০টি ফল ধরে। বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পঞ্চগড়সহ দেশের সব অঞ্চলে চাষের জন্য উপযোগী। বারি মাল্টা-১ বাংলাদেশের সব অঞ্চলে সমভাবে এবং জনপ্রিয়ভাবে চাষ হয়ে থাকে।
বারি মাল্টা-২: বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে সংগৃহীত জার্মপ্লাজমের মধ্য থেকে বাছাই করে মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘বারি মালটা-২’ জাতটি উদ্ভাবন করা হয় এবং ২০১৭ সালে জাত হিসেবে অনুমোদন করা হয়। ‘বারি মাল্টা-২’ একটি নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চফলনশীল জাত। ফল আহরণের সময় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। গাছ দ্রুতবর্ধনশীল, ঝোপালো স্বভাবের। পাতা উপবৃত্তাকার, পত্রফলকের অগ্রভাগ সুচালো ও গাঢ় সবুজ বর্ণের। ফুল সাদা, ছোট, উভয় লিঙ্গিক, পাঁচ (৫) পাপড়ি বিশিষ্ট। অনেকগুলো ফুল সাইম সাদৃশ্য পুষ্পমঞ্জুরিতে সাজানো থাকে। ফুলে ৫টি বৃত্যাংশ বিদ্যমান। ফল উপবৃত্তাকার ও তুলনামূলকভাবে বড় (প্রতি ফলের গড় ওজন ১৭৯ গ্রাম), ফলের উপরিভাগ মসৃণ, দেখতে সবুজ বর্ণের এবং টিএসএস ৭.৫%। ফল সাধারণত গুচ্ছাকারে ধরে। ফলের অভ্যন্তরে ১০-১১টি খণ্ড বিদ্যমান এবং খাদ্যোপযোগী অংশ প্রায় ৭২.৯৫%। ফলে ১১-১২টি পর্যন্ত বীজ বিদ্যমান।
বংশবিস্তার : বীজ ও কলমের মাধ্যমে মাল্টার বংশবিস্তার করা যায়। পরিপক্ব ফলের বীজ সংগ্রহ করে কয়েক দিনের মধ্যেই নার্সারিতে স্থাপন করে চারা উৎপাদন করা হয়। তবে বীজের চারা আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়ার সাথে সমন্বয় করে বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। তাই কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করাই উত্তম। তাছাড়া কলমের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করলে সেটার মাতৃগুণাগুণও ঠিক থাকে এবং দ্রুত ফল ধরে। এছাড়া রোগপ্রতিরোধী ও বলিষ্ঠ শিকড়সমৃদ্ধ আদিজোড়ের ওপর কলম করার ফলে গাছের জীবনকাল ও ফলন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
জোড় কলম : গ্রাফটিং এর জন্য প্রথমে রুটস্টক (আদিজোড়) উৎপাদন করতে হবে। রুটস্টক হিসেবে বাতাবীলেবু, রাফলেমন, কাটা জামির, রংপুর লাইম প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়। অতঃপর কাঙ্ক্ষিত মাতৃগাছ হতে সায়ন (উপজোড়) সংগ্রহ করে রুটস্টকের ওপর স্থাপন করে মাল্টার গ্রাফটিং তৈরি করা হয়। রুটস্টক হিসেবে ১.০ হতে ১.৫ বছর বয়সের সুস্থ, সবল ও সোজাভাবে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত চারা নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচিত
মাতৃগাছ হতে সায়ন তৈরির জন্য দুটি চোখসহ ৫-৬ সেমি লম্বা ও ৮-৯ মাস বয়সের ডাল সংগ্রহ করতে হবে। মধ্য-বৈশাখ থেকে মধ্য-ভাদ্র (মে থেকে আগস্ট) মাস পর্যন্ত গ্রাফটিং করা যায়। ভিনিয়ার ও ক্লেফট গ্রাফটিং উভয় পদ্ধতিতেই মাল্টার কলম তৈরি করা যায়। সাধারণত কলম করার ১০-১৫ দিনের মধ্যে রুটস্টক ও সায়নের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয় এবং সায়নের চোখ ফুটে কুশি বের হয়। কলম হতে একাধিক ডাল বের হলে সুস্থ সবল ও সোজাভাবে বেড়ে ওঠা ডালটি রেখে বাকিগুলো কেটে ফেলতে হবে। আদিজোড় থেকে উৎপন্ন কুশি নিয়মিতভাবে অপসারণ করতে হবে।
ছাদে কমলা ও মাল্টার চাষ এবং পরিচর্যা :
ছাদে মাল্টা ও কমলার চারা/কলম চারা লাগানোর জন্য হাফ ড্রাম বা একই মাপের সিমেন্টের পট বা জিও ব্যাগেও মাল্টা ও কমলা লাগানো যেতে পারে। পট বা টব নির্বাচনের পরে এই বইয়ের “ছাদ বাগানের জন্য মাটি প্রস্তুত ও চারা রোপণ” অধ্যায়ে ছাদ বাগানের জন্য “ছাদ বাগানের জন্য আদর্শ মাটি তৈরি করত সেখানে মাল্টা/কমলার কলম/কাটিং রোপণ করতে হবে। চারা গাছটিকে সোজা করে সঠিকভাবে রোপণ করতে হবে। তারপর গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে হাত দিয়ে মাটি চেপে চেপে দিতে হবে। ফলে গাছের গোড়া দিয়ে পানি বেশি ঢুকতে পারবে না। একটি সোজা চিকন লাঠি দিয়ে গাছটিকে বেঁধে দিতে হবে। চারা রোপণের শুরুর দিকে পানি অল্প দিলেই চলবে। পরে ধীরে ধীরে পানি দেওয়া বাড়াতে হবে। তবে গাছের গোড়ায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না। মাটিতে রসের ঘাটতি দেখা দিলে প্রয়োজন মতো গাছে সেচ দিতে হবে। সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে অত্র পুস্তকের “ছাদ বাগানের নিয়মিত পরিচর্যা” অধ্যায়ের “বিভিন্ন বয়সি ফল গাছের জন্য বছরভিত্তিক সার প্রয়োগের মাত্রা” অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মাবলি অনুসরণ করুন। অধিকন্তু অন্যান্য পরিচর্যার ব্যাপারেও “ছাদ বাগানের নিয়মিত পরিচর্যা” অধ্যায়ের অপরাপর বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ রাখতে হবে। :
কমলা ও মাল্টা চাষের বিশেষ ব্যবস্থাপনা : কমলা এবং মাল্টা যেহেতু লেবুজাতীয় ফল সুতরাং কমলা এবং মাল্টার পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনার জন্য ‘ছাদ বাগানে লেবুর চাষ’ অধ্যায়ের পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা চ্যাপ্টারটির দিকে দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ রইল।
চারা/কলমের প্রাপ্তিস্থান : বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টারসমূহ, বিএডিসি’র এগ্রো সার্ভিস সেন্টার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে ভালো জাতের কমলা ফলের চারা/কলম পাওয়া যায়। আবার বিশ্বস্ত ব্যক্তির কাছ থেকেও এসব চারা/কলম সংগ্রহ করতে পারেন।
আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook
ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে 👉 Geo Grow Bag
দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 High Quality Gardening Seeds
ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 High Quality Gardening Tools
গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 Organic Fertilizers and Pesticides
নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet