Fruit Bagging- ফল উৎপাদনে সম্ভাবনার দুয়ার
Fruit Bagging বর্তমানে বাংলাদেশে আর নতুন কিছু নয়। পৃথিবীতে ফল উৎপাদনের জন্য উত্তম যতগুলো পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে Fruit Bagging অন্যতম। অন্যান্য দেশে এ পদ্ধতি অনেক আগে থেকে প্রচলিত থাকলেও বাংলাদেশে এর তেমন একটা চল ছিল না। তবে বর্তমানে কৃষকরা যেমন হয়েছেন সচেতন তেমনি হয়েছেন আধুনিক।
চলুন জেনে আসা যাক –
Fruit Bagging কি?
সহজ কথায় পোকামাকড়, সূর্যের আলো কিংবা অন্যান্য ক্ষতিকর জিনিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফলকে ব্যাগ দিয়ে ঢেকে রাখার পদ্ধতিকেই Fruit Bagging পদ্ধতি বলা হয়। এ পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার বাংলাদেশের লক্ষ্য করা যায় পেয়ারা ফলে। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন সহজলভ্য পলিথিন ব্যাগ দিয়ে গাছে থাকা অবস্থায় পেয়ারাকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঢেকে রাখা হয়। বিভিন্ন কালারের ব্যাগ ফল সংগ্রহ করার পূর্ব পর্যন্ত গাছেই লাগানো থাকে। আর এই ব্যাগের রং নির্ধারিত হয় ফলের ভিত্তিতে।
কোন কোন ফলে বেশি উপযুক্ত
সাধারণত পেয়ার,আম, ডালিম, কাঠাল ও কলা জাতীয় ফলে Fruit Bagging পদ্ধতি চালু রয়েছে। তবে বর্তমানে বেগুন সবজিতেও ফ্রুট ব্যাগিং করা হচ্ছে। রঙিন আমের জন্য সাধারণত সাদা কালারের ব্যাগ এবং অন্যান্য বয়সের আমের জন্য বাদামি রঙের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ফলে উৎপাদিত ফসল হয়ে থাকে স্বাস্থ্যসম্মত, রপ্তানিযোগ্য এবং নিরাপদ।
Fruit Bagging কেন প্রয়োজন?
বর্তমানে বিভিন্ন ফল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বালাইনাশকের ব্যবহার অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর এবং এছাড়াও এর কারণে ফলের মান ও গুনাগুন নষ্ট হচ্ছে। আর সেজন্য মাত্রাতিরিক্ত স্প্রে যেন না ব্যবহার করা হয় তাই গবেষকরা নিয়ম মেনে ব্যাগিং প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন। এর ফলে উৎপাদিত ফল এবং সবজি হয়ে থাকে বিষমুক্ত, এবং গুণগত মান সম্পন্ন। তাছাড়া এর মাধ্যমে উৎপাদনের খরচ কম এবং বাইরের পোকামাকড় ও সূর্যালোক থেকেও ফসল কে রক্ষা করা যায়।
Fruit Bagging কিভাবে করব?
গবেষকরা হিসাব করে দেখেছেন প্রত্যেক ফলের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহারের সময় আলাদা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ আমের ক্ষেত্রে ব্যাগিং করা হয় ৩৫ থেকে ৪০ দিন বয়সী আম ফলে। পেয়ারার ক্ষেত্রে এই সময় ৫০ থেকে ৫৫ দিন। আর ব্যাগিং করার আগে অবশ্যই ছত্রাক নাশক এবং কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। তবে ভেজা অবস্থায় ব্যাগিং করা উচিত না। ব্যাগের কালার ফলের উপর নির্ধারিত হবে। রঙিন আমের জন্য সাদা কালারের একই স্তরবিশিষ্ট ব্যাগ এবং যেকোনো আমের জন্য দুই স্তরবিশিষ্ট বাদামী রঙের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেননা বাদামী রং আমকে রঙিন এবং হলুদ করতে সাহায্য করে। বেগুনের ক্ষেত্রে বয়স দুই থেকে তিন দিন হলেই ব্যাগিং করা হয়। বুঝতেই পারছেন Fruit Bagging প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় এবং পদ্ধতি একেক ফলের জন্য একেক রকম।
বাংলাদেশের Fruit Bagging এর সম্ভাবনা
বছর কয়েক আগে বাংলাদেশে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে Fruit Bagging পদ্ধতি তেমন একটা কার্যকর হয়নি। তবে বর্তমানে উন্নত মানের ব্যাগ আবিষ্কার করা হচ্ছে। আর এসব ব্যাগ বৃষ্টিতে নষ্ট হয় না। এর ফলে দিন দিন fruit bagging প্রযুক্তির সম্ভাবনা বাংলাদেশে দ্রুতমাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর সুফল ভোগ করা শুরু করেছেন আম ও পেয়ারা ব্যবসায়ীরা। বিশ্বমানের বিষমুক্ত ভালো মানের ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তির ব্যবহার করার ফলে।
উপসংহার
Fruit Bagging প্রযুক্তি এর ব্যাপক চাহিদা এবং ভালো দিক থাকা সত্ত্বেও কৃষকেরা আমদানিকৃত বিভিন্ন ব্যাগের উপর নির্ভরশীল। আর সে কারণে ব্যাগের দাম নিয়ে অনেকে চিন্তিত থাকেন। তবে বাংলাদেশেই এইসব ব্যাগ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। আর তা হলে আশা করা যায় বাংলাদেশের কৃষকেরা উন্নত মানের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশে উৎপাদিত ফলের গুনগত মান এবং জনগণের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবেন।
আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook
ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে = Geo Grow Bag
দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 HIGH QUALITY GARDENING SEEDS
ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 HIGH QUALITY GARDENING TOOLS
গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 ORGANIC FERTILIZERS AND PESTICIDES
নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet