Perennial jackfruit cultivation on the roof – ছাদে বারোমাসি কাঁঠাল চাষ

Perennial jackfruit cultivation on the roof

 আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। স্বাদে গন্ধে ও পুষ্টির বিবেচনায় অসাধারণ ফল কাঁঠাল (Jackfruit)। কাঁঠাল পৃথিবীর ফলসমূহের মধ্যে আকারে বৃহত্তম। ভারতীয় উপমহাদেশ, বিশেষত বাংলাদেশ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহ কাঁঠালের উৎপত্তি স্থান হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার এটি অতি আদিম ফল। এছাড়া নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চায়না, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কাঁঠালের চাষ হয়। পূর্ব আফ্রিকার উগান্ডা ও তানজানিয়া এবং সমগ্র ব্রাজিল ও ক্যারিবীয় দীপপুঞ্জের জ্যামাইকাতে কাঁঠাল পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সর্বত্রই কাঁঠাল পরিদৃষ্ট হয়। সাধারণত লালচে মাটি ও উঁচু এলাকায় এটি বেশি দেখা যায়। তবে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং পার্বত্য এলাকায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়।

 কাঁঠালের পুষ্টিগুণ উপকারিতা :

 কাঁঠাল পুষ্টিসমৃদ্ধ। এতে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী। কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ নিতান্ত কম। এ ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম। কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পাকা কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ আছে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। কাঁঠালের অন্যতম উপযোগিতা হলো ভিটামিন ‘সি’। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন ‘সি’।

কাঁঠালের বিদ্যমান আইসোফ্লাভোনস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আলসার, ক্যানসার, উচ্চরক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম। কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণে খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ, যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কাঁঠালে বিদ্যমান ভিটামিন বি, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং আয়রন দেহের রক্তাল্পতা দূর করে। ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয় এবং অন্যদিকে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়। গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ ফল আঁশালো বিধায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তবে যাদের পেটে সমস্যা আছে তাদের জন্য কাঁঠাল হজম করা বেশ কঠিন। কাঁঠাল গাছকে বহুবিদ ব্যবহার উপযোগী গাছ (Multipurpose tree) বলা হয়। এ থেকে পাওয়া যায় খাদ্য, কাঠ, জ্বালানি, গো-খাদ্য, ওষুধ ও শিল্প উপকরণ। কাঁঠালের ফল কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। বসন্তকাল থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত কাঁচা কাঁঠাল কান্দা বা ইচোড় সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। পাকা ফল বেশ পুষ্টিকর, কিন্তু এর গন্ধ অনেকের কাছে ততটা আকর্ষণীয় নয়। তবু মৃদু অম্লযুক্ত সুমিষ্ট স্বাদ ও স্বল্পমূল্যের জন্য অনেকে পছন্দ করেন। কাঁঠালের আঁটি বা বীজ তরকারির সাথে রান্না

করে খাওয়া হয় অথবা পুড়িয়ে বাদামের মতো খাওয়া হয়। এর একটি সুবিধা হলো আঁটি অনেক দিন ঘরে রেখে দেওয়া যায়। পাকা ফলের কোষ মানুষসহ পশুপাখি খেয়ে থাকে। এই কোষ নিংড়ে রস বের করে তা শুকিয়ে আমসত্ত্বের মতো ‘কাঁঠালসত্ত্ব’ও তৈরি করা যায়। কোষ খাওয়ার পর যে খোসা ও ভুতি থাকে তা গবাদি প্রাণীর একটি উত্তম খাদ্য। পাকা ফলের বোঁটার সাথে আঁঠালো অংশটি কুমড়াজাতীয় সবজির মাচায় ঝুলিয়ে দিলে ফলের মাছি পোকা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ভূতি বা ছোবড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিন থাকায় তা থেকে জেলি তৈরি করা যায়। এমনকি শাঁস বা পাল্প থেকে কাঁচা মধু আহরণ করার কথাও জানা গেছে।

কাঁঠাল গাছের পাতা গবাদি প্রাণীর মজাদার খাদ্য। পাতা পিঠা তৈরিতে কাঁঠালের পাতার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। সোনালি হলুদ গুঁড়ি থেকে তৈরি হয় মূল্যবান আসবাবপত্র, যা উইপোকা প্রতিরোধী এবং ছত্রাক-ব্যাকটেরিয়া রোগ পচনরোধী। সার কাঠের গুঁড়া বা টুকরো রং শিল্পে ব্যবহৃত হয়। কাঁঠাল ফল ও গাছের আঁঠালো কষ কাঠ বা বিভিন্ন পাত্রের ছিদ্র বন্ধ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর জার্মপ্লাজম সেন্টারে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ পর্যন্ত প্রায় শ’খানেক জার্মপ্লাজম সংযোজিত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র এ পর্যন্ত বারি কাঁঠাল-১, ২,৩,৪,৫,৬ নামের উচ্চফলনশীল জাত অবমুক্ত করেছে। হাজারী কাঁঠাল নামে অতি জনপ্রিয় একটি জাত রয়েছে, ছোট ছোট অনেক ফল ধরে থাকে। বাংলাদেশে চাষকৃত জাতগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

 ১. খাজা বা চাউলা (কোষ আকারে বড় হয়, ফ্যাকাশে হলুদ, পাকার পর কম রসালো, অপেক্ষাকৃত শক্ত বা কঙ্কচে হয়, চিপলে সহজে রস বের হয় না, কাঁঠাল পাকার পরও সবুজাভ থাকে)।

 ২. গিলা বা রসা বা রসখাজা (কোষ অত্যন্ত কোমল, মিষ্টি, রসালো, স্বাদ টক-মিষ্টি, অপেক্ষাকৃত ছোট কোয়া ও কাঁঠাল পাকার পর একটু লালচে-হলুদাভ হয়) এবং ৩।

৩. দোরসা (খাজা ও গিলা কাঁঠালের মাঝামাঝি বৈশিষ্ট্য)। ফল পরিপক্ব হতে ৪-৫ মাস সময় লাগে। কাঁচা ফলে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঠনঠন শব্দ আর পাকা ফলে আঘাত করলে ড্যাব ড্যাব শব্দ হয়। বাংলাদেশে প্রতিটি গাছে গড়ে ২৫- ২০০টি কাঁঠাল ধরে এবং প্রতিটি ফলের ওজন ৩-২৫ কেজি। কাঁঠালকে ১১-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৮৫-৯০% আপেক্ষিক আর্দ্রতাযুক্ত ঘরে একে ৩- ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

 ইতঃপূর্বে আমরা কাঁঠাল গাছকে কখনো ছাদ বাগানে রোপণের কথা চিন্তা করিনি, কিন্তু হালে এ ব্যাপারে আমাদেরকে আশার খবর দিচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। জাতীয় ফল হলেও কাঁঠাল চাষ প্রসারে এতদিন অন্যতম বড় বাধা ছিল ‘উন্নত চারা’। কারণ প্রাচীনকাল থেকে কাঁঠালের চাষ হয়ে আসছে প্রচলিত পদ্ধতিতে বীজ থেকে তৈরি চারা দিয়ে। এ পদ্ধতিতে চারা লাগানোর সাত-আট বছর পর গাছে ফলন আসে।

তাছাড়া প্রচলিত পদ্ধতিতে জাত, স্বাদ, মিষ্টতা ও ঘ্রাণ কখনো ঠিক থাকে না। এসব কারণে বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষে আগ্রহী ছিলেন না চাষিরা। তাই কাঁঠালের কলম ও উচ্চ ফলনশীল নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য শুরু হয় গবেষণা। বারি কাঁঠাল-৬-এর উদ্ভাবনে জড়িত বারির ফল বিভাগ প্রথম সফল হন ২০০৯ সালে। এতে আশার আলো দেখতে পান তাঁরা। পরে ২০১৮ সালে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে উচ্চ ফলনশীল বারোমাসি কাঁঠালের কলম চারা তৈরিতে শুরু হয় ব্যাপক গবেষণা। সফলতা আসে ২০২১ সালে। ১৫টি চারা প্রদর্শনী মাঠে রোপণ করে মাত্র দেড় বছরে (২০২৩ সালের মে-জুন মাসে) ফলন পান ১৩টিতে। উদ্ভাবিত বারি-৬ জাতটির গাছ বিস্তৃত ডালপালাবিশিষ্ট সতেজ ও সবুজ। বেশিরভাগ গাছ দেড় বছরের মাথায় ফলন দিতে সক্ষম হলেও দুই বছর পর সব গাছেই ফল আসে। ফলের গড় ওজন ৩.৯৩ কেজি। ফলের ওপরের পৃষ্ঠ দেখতে হলুদাভ সবুজ। পাল্প (শাঁস) শক্ত, উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের ও আঠাবিহীন। এর মিষ্টতা (টিএসএস) ২৪.৮ শতাংশ। গড় ফলন হেক্টরে ১০.৬ টন। জাতটি উদ্ভাবনের ফলে চারা রোপণের অল্প সময়ে ফলন আসায় কাঁঠাল চাষে বিপ্লব বয়ে আনবে। সুতরাং আমরা ছাদ বাগানের জন্য এখন বারি-৬ জাতের বারোমাসি কাঁঠাল রোপণ করতে পারি। ‘বারি’ বিজ্ঞানীরা আশা করছেন বারি-৬ কাঁঠালের জাতটি উদ্ভাবনের ফলে দেশে কাঁঠাল চাষে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

jackfruit tree

ছাদে বারোমাসি কাঁঠালের কলম লাগানোর জন্য হাফ ড্রাম অথবা সিমেন্টের পট বা জিও ব্যাগ নিয়ে তাতে এই বইয়ের “ছাদ বাগানের জন্য মাটি প্রস্তুত ও চারা রোপণ” অধ্যায়ে ছাদ বাগানের জন্য “ছাদ বাগানের জন্য আদর্শ মাটি তৈরি করত সেখানে কাঁঠাল গাছের কলম রোপণ করতে হবে। চারা গাছটিকে সোজা করে সঠিকভাবে রোপণ করতে হবে। তারপর গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে হাত দিয়ে মাটি চেপে চেপে দিতে হবে। ফলে গাছের গোড়া দিয়ে পানি বেশি ঢুকতে পারবে না। একটি সোজা চিকন লাঠি দিয়ে গাছটিকে বেঁধে দিতে হবে। চারা রোপণের শুরুর দিকে পানি অল্প দিলেই চলবে। পরে ধীরে ধীরে পানি দেওয়া বাড়াতে হবে। তবে গাছের গোড়ায় পানি জমতেও দেওয়া যাবে না। মাটিতে রসের ঘাটতি দেখা দিলে প্রয়োজন মতো গাছে সেচ দিতে হবে। তবে বর্ষাকালে কাঁঠাল কলম রোপণ করলে কোনো পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

 অন্যান্য পরিচর্যা :   বিভিন্ন পরিচর্যা সহ প্রতিবছর দু’বার সার প্রয়োগের জন্য “ছাদ বাগানের নিয়মিত পরিচর্যা” অধ্যায়ের খুঁটিনাটি অনুসরণ করুন।

কাঁঠালের পোকামাকড় রোগবালাই ব্যবস্থাপনা:

কাঁঠালের ফল ছিদ্রকারী পোকা:

কাঁঠালের ফল ছিদ্রকারী পোকা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। পূর্ণবয়স্ক পোকা কাঁঠালের গায়ে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বের হওয়া লার্ভাটি ফলের ভিতরে প্রবেশ করে। প্রাথমিক অবস্থায় ছোট ছিদ্রকারী পোকার তাজা বিষ্ঠা দেখা যায়। এটি দেখে এই রোগের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়। ধীরে ধীরে ছিদ্র বড় হতে থাকে এবং পরবর্তীতে ছত্রাকের আক্রমণ পরিলক্ষিত হতে থাকে। আক্রান্ত স্থানে পচন ধরে এবং কাঁঠাল আশিংক বা সম্পূর্ণ বিনষ্ট হতে পারে। কাঠালের ফল ছিদ্রকারী পোকা

Jackfruit fruit borer

 চিত্র: কাঁঠালের ফল ছিদ্রকারী পোকা

প্রতিকার:

১. গাছ সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আক্রান্ত কাঁঠাল মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করে ফেলতে হবে।

 ২. এই রোগ দমনে নিমের তেল বেশ কার্যকরী। নিমতেল (প্রতি লিটার পানিতে ১০ মিলি হারে) + ট্রিক্স ৫ মিলি মিশিয়ে নিয়মিত স্প্রে করতে হবে।

 ৩. ব্যাপক আক্রমণ হলে প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে ডাইমেথোয়েট জাতীয় কীটনাশক ফুট পাম্পের সাহায্যে স্প্রে করতে হবে।

কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা :  এ পোকা গাছের কাণ্ড ছিদ্র করে ভিতরের অংশ খেয়ে গাছের ফলন কমিয়ে দেয়, সবশেষে গাছটি মারা যায়। এ পোকার আক্রমণে গাছের কাণ্ডে ছিদ্র পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও গাছের কাণ্ডে মালার মতো ঝুল লেগে থাকে।

Jackfruit stem borer

চিত্র: কাঁঠালের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা

প্রতিকার :

১. গর্ত পর্যবেক্ষণ করে পোকা মেরে ফেলতে হবে।

 ২. গর্তে মুখে প্যারাডাইক্লোরোবেনজিন প্রবেশ করিয়ে এর মুখে মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।

৩. সিরিঞ্জের মাধ্যমে কেরোসিন মিশ্রিত পানি বা কীটনাশক মিশ্রিত পানি ছিদ্রের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে ছিদ্রের মুখ কাদা মাটি দিয়ে লেপে ভিতরের অবস্থিত পোকা মারা যাবে।

৪. ছিদ্রের ভিতর লোহার শলাকা ঢুকিয়ে পোকা মারার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. চিকন ধাতব তার বা পেরেক গর্তে প্রবেশ করিয়ে মারার ব্যবস্থা করতে হবে।

কাঁঠাল পচা রোগ:

এক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়। এ রোগের আক্রমণে কাঁচা ফলের গায়ে বাদামি রঙের দাগের সৃষ্টি হয় এবং শেষ পর্যন্ত আক্রান্ত ফল গাছ থেকে ঝরে পড়ে। প্রতিকার: গাছের নিচে ঝরে পড়া পাতা ও ফল পুড়ে ফেলতে হয়। ফলিকুর ছত্রাকনাশক ০.০৫% হারে পানিতে মিশিয়ে গাছে ফুল আসার পর থেকে ১৫ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করা দরকার।

Jackal rot disease

চিত্র: কাঁঠাল পচা রোগ

 মুচিঝরা রোগ :  ছত্রাকের আক্রমণের কারণে ছোট অবস্থাতেই কালো হয়ে ঝরে পড়ে। প্রতিকার: ডাইথেন এম ৪৫ অথবা রিডোমিল এম জেড ৭৫, প্রতিলিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম করে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

Muchijha disease of jackfruit

 চিত্র: কাঁঠালের মুচিঝরা রোগ

 চারা/কলমের প্রাপ্তিস্থান :  বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টারসমূহ, বিএডিসি’র এগ্রো সার্ভিস সেন্টার, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন জাতের কাঁঠালের চারা/কলম পাওয়া যায়। আবার বিশ্বস্ত ব্যক্তির কাছ থেকেও কাঁঠালের চারা/কলম সংগ্রহ করতে পারেন।

আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook

ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে 👉 Geo Grow Bag

দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 High Quality Gardening Seeds

ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 High Quality Gardening Tools

গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 Organic Fertilizers and Pesticides

নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet

Our Product Categories

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *