Plant nutrition – সার ব্যবস্থাপনা

Plant nutrition

Plant nutrition – সার ব্যবস্থাপনা

উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান :

 উদ্ভিদের বেঁচে থাকা, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়া এবং বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে ফুল, ফল এবং বীজ উৎপাদনের জন্য খাদ্যগ্রহণ আবশ্যক। উদ্ভিদ মাটিতে থাকা ৯০টি বা ততধিক উপাদান গ্রহণ করে থাকে। তবে এগুলোর মধ্যে গুটি কয়েক উপাদান উদ্ভিদের জন্য অত্যাবশক কারণ ঐগুলো উদ্ভিদের বিপাক ক্রিয়ায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানের ভূমিকা :

 নিম্নলিখিত এক বা একাধিক উপায়ে খাদ্যোপাদানসমূহ উদ্ভিদের পুষ্টিতে ভূমিকা রাখে-

  • উদ্ভিদ কোষের উপাদান হিসেবে থাকে।
  • দেহতাত্ত্বিক নানা বিক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
  • উদ্ভিদ দেহে জারণ-বিজারণের কাজ করে।
  • উদ্ভিদ দেহে অম্লতা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
  • অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
  • মূলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে উদ্ভিদের সার্বিক বৃদ্ধিকে সহায়তা করে। উপরন্তু এ সকল কাজের সমন্বিত প্রভাবে ফসলের ফলন ও মান বৃদ্ধি করে।

খাদ্যোপাদানের উৎস :

প্রাকৃতিক উৎস

  • মাটি (সকল খাদ্য উপাদান)
  • বায়ু (কার্বন ও অক্সিজেন)
  • পানি (হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন)

 কৃত্রিম উৎস/সার (অত্যাবশ্যকীয় উপাদান)

অত্যাবশ্যকীয় উপাদান :

উদ্ভিদের বেঁচে থাকা, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়া এবং বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে ফুল, ফল এবং বীজ উৎপাদনের জন্য যে সমস্ত মৌলিক উপাদান অপরিহার্য, তাদেরকেই উদ্ভিদের অত্যাবশ্যক খাদ্যোপাদান বলে। এর সংখ্যা ১৬টি। এদের যে কোনো উপাদানের অভাব হলে উদ্ভিদ মারা যাবে এবং ঘাটতি হলে আনুপাতিক হারে উদ্ভিদের দেহ ক্রিয়ায় কোথাও না কোথাও ব্যাঘাত ঘটবে, যা সুনির্দিষ্ট লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। উদ্ভিদ অত্যাবশ্যক খাদ্যোপাদানের কিছু সংখ্যক বেশি এবং কিছু সংখ্যক কম পরিমাণে পরিশোষণ করে। তাই পরিশোষণের পরিমাণের ভিত্তিতে খাদ্যোপাদান দু’প্রকার যথা

মুখ্য খাদ্যোপাদান:

এ সমস্ত খাদ্যোপাদান উদ্ভিদের পুষ্টির জন্য বেশি পরিমাণে প্রয়োজন। মুখ্য উপাদান ৯টি, যথা- কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ, সালফার, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।

গৌণ খাদ্যোপাদান:

এ সমস্ত খাদ্যোপাদান উদ্ভিদের পুষ্টির জন্য কম পরিমাণে প্রয়োজন। গৌণ উপাদান ৭টি, কপার, জিংক, বোরন, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, মলিবডেনাম ও ক্লোরিন।

মুখ্য ও গৌণ খাদ্যোপাদানের মধ্যে পার্থক্য

মুখ্য উপাদান

গৌণ উপাদান

বেশি পরিমাণে পরিশোষিত হয়।

কম পরিমাণে পরিশোষিত হয়।

মাটিতে ঘাটতি বেশি হয়।

ঘাটতি কম দেখা যায়।

ঘাটতির লক্ষণ সাধারণত: পুরাতন পাতায় দেখা দেয়।

ঘাটতির লক্ষণ সাধারণত নতুন পাতায় দেখা যায়।

সার হিসেবে বেশি হারে প্রয়োগ করা হয়।

কম হারে প্রয়োগ করা হয়।

প্রয়োগমাত্রা একটু বেশি হলে তেমন ক্ষতি হয় না।

সামান্য বেশি প্রয়োগ করলেই ব্যাপক ক্ষতির লক্ষণ প্রকাশ পায়।

Add Your Heading Text Here

পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি ও অভাবজনিত লক্ষণ:

 গাছের বৃদ্ধির সময় এক বা একাধিক পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি থাকলে গাছের বিকৃত চেহারা বা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়। যদি কোনো গাছে একমাত্র একটি উপাদানের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়, তাহলে কমবেশি একই ধরনের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু যদি দুই বা ততধিক পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি থাকে, তখন পুষ্টিজনিত লক্ষণসমূহ সহজে শনাক্ত করা যায় না। গাছের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি নির্ণয়ের জন্য আজকাল বেশকিছু পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপ:

  • মাটি পরীক্ষা
  • গাছের বিশেষণ
  • দৃশ্যমান চিহ্ন
  • জৈবিক পরীক্ষা

মাটি পরীক্ষা:

 মাটি পরীক্ষা পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি নির্ণয়ের অন্যতম প্রধান পদ্ধতি। মাটি পরীক্ষা বলতে মাটি সংগ্রহ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে একত্র করে (যেমন- সংগ্রহ, শুকানো, নমুনা তৈরি করা) গবেষণাগারে ভৌতিক ও রাসায়নিক বিশ্লেষণ করা এবং পরিশেষে চুন ও সার প্রয়োগের মাত্রা সুপারিশ করা সমস্ত কার্যক্রম বুঝায়। মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যেমে মাটির প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহের ক্ষমতা নির্ণয় করা হয়ে থাকে।

গাছের বিশেষণ:

গাছ বিশেষণ পুষ্টি চাহিদা নির্ধারণের জন্য একটি উত্তম পদ্ধতি।

গাছ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টি উপাদানের ঘনত্ব ক্রমশ হ্রাস পায়। এ হ্রাসের পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তবে গাছের বৃদ্ধি মাত্রা কমে যায়। গাছে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ যদি ক্রান্তিমানের নিচে নেমে যায় তাহলে গাছের বৃদ্ধির মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস পায়। বাড়ন্ত গাছের পুষ্টি উপাদানের সঠিক প্রয়োজন দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়ে থাকে। নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের জন্য এ পরীক্ষায় দ্রুত টিস্যু বিশেষণ পরীক্ষার মাধ্যমে পূর্বেই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।

দৃশ্যমান চিহ্ন:

 নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদানের ঘাটতির জন্য গাছে পুষ্টিজনিত অভাব বা বিশেষ ঘাটতির লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। এ লক্ষণগুলি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করে শনাক্ত করা যেতে পারে। ভূমির উর্বরতা মূল্যায়নে এবং অন্যান্য রোগ নির্ণয়ে এ পদ্ধতিটি প্রতিস্থাপক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। পুষ্টির অভাবজনিত লক্ষণের জন্য গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং পরিশেষে ফলন কমে যায়।

জৈবিক পরীক্ষা:

 নিচে দৃশ্যমান লক্ষণসমূহ দেওয়া হলো:

  • চারা গাছ সম্পূর্ণরূপে পূর্ণাঙ্গতা লাভ করে না।
  • গাছের বৃদ্ধি তীব্র আকারে বাধাগ্রস্ত হয়।
  • শস্য মৌসুমে বিভিন্ন সময়ে নির্দিষ্ট পাতায় লক্ষণগুলি দেখা যায়।
  • পরিচালন কোষ অকার্যকর হওয়ার কারণে আন্তঃশিরায় অস্বাভাবিকতা দেখা যায়।
  • পরিপক্বতা দেরিতে আসে অথবা অস্বাভাবিক পরিপক্বতা দেখা যায়।

পাতার পার্থক্য ছাড়া অথবা পাতার পার্থক্যসহ ফলনের পার্থক্য বুঝা যায়।

শস্যের গুণগতমান কমে যায় এবং

  • ফলনের পার্থক্য হয়।

উৎস

বইয়ের নাম :  ফসলের বালাই দমন ব্যবস্থাপনা ।

লেখক এর নাম : মোঃ হাসানুর রহমান খান বকুল ।

আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook

গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 Organic Fertilizers and Pesticides

ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে = Geo Grow Bag

দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 High Quality Gardening Seeds

ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 High Quality Gardening Tools

নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *