Seaweed Farming- আয়ের বিকল্প উৎস
Seaweed বা সামুদ্রিক শৈবাল বাংলাদেশে একটি সম্ভাবনার নাম। বছরের বেশিরভাগ সময় দেশের উপকূল এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই বেকার জীবনযাপন করেন। তাদের কাছে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ হতে পারে সোনার হরিণ। Seaweed চাষ করে উপকূলের হাজারো বেকার জনগোষ্ঠী তাদের ভাগ্যের সন্ধান পেয়েছেন।
আজকে আমরা জানবো-
Seaweed বা সামুদ্রিক শৈবাল কি?
সামুদ্রিক শৈবাল বা Seaweed এর আক্ষরিক অর্থ হলো সামুদ্রিক আগাছা। এটি এক ধরনের শৈবাল। শৈবাল হল এমন কতগুলো ফুলবিহীন উদ্ভিদ যারা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন করে। এই উদ্ভিদের কোন শিকড়, ডালপালা ও পাতা থাকে না। অত্যন্ত ছোট্ট এই উদ্ভিদ গুলি দেখা যায় উপকূলীয় সামুদ্রিক এলাকায়। বিভিন্ন রকম পাথর, বালি, খোলস, কাদা অন্যান্য শক্ত অবকাঠনের সাথে যুক্ত হয়ে এসব উদ্ভিদ জন্মে। পৃথিবীতে প্রায় ১২০০০ এর বেশি প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল রয়েছে। তবে প্রধান সামুদ্রিক শৈবাল গুলো হলো লাল, সবুজ এবং বাদামী।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে Seaweed বা শৈবাল চাষ
বাংলাদেশের সামুদ্রিক শৈবাল চাষ একটি অনন্য সম্ভাবনার নাম। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে শত শত বেকার জনগণ আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামুদ্রিক শৈবাল চাষের মাধ্যমে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনছেন। বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলের বিরাট জনগোষ্ঠীর জন্য এটি হতে পারে অন্যতম একটি আয়ের উৎস। এছাড়াও বাংলাদেশ সামুদ্রিক শৈবাল বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। তাই এর বেশ কদর এবং চাহিদা দেশে ও দেশের বাইরে বিদ্যমান। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একটি বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে শৈবাল চাষের জুড়ি নেই।
Seaweed চাষের জন্য যা জানতে হবে
- শৈবাল বিভিন্ন প্রজাতি সম্পর্কের ধারণালাভ। কেননা বাণিজ্যিকভাবে কেবল অল্প কিছু সংখ্যক শৈবালের প্রজাতি গুরুত্বপূর্ণ।
- Seaweed চাষের জন্য সঠিক স্থান নির্বাচনে সচেষ্ট হতে হবে।
- জানতে হবে কিভাবে বাশের ফ্রেম তৈরি করতে হয়।
- শৈবাল কিভাবে আহরণ করতে হয় তার কৌশল।
- শৈবালের প্রক্রিয়াজাতকরণ।
Seaweed বা শৈবাল চাষ পদ্ধতি
প্রথমেই আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে শৈবাল চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি। তবে বাংলাদেশ সাধারণত Caulera racemosa, Spirulina, Sargassum প্রজাতির Seaweed বেশি চাষ করা হয়। এরপরে আপনাকে সমুদ্র উপকূলের উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে। লোকজনের আনাগোনা যেখানে কম এবং পানি যেখানে পরিষ্কার এরূপ স্থানে খুঁটি বসাতে হবে। তারপর খুঁটির দু প্রান্তে দড়ি বাধতে হবে। এরপর বাঁশের ফ্রেমের খাঁচার মধ্যে জাল লাগিয়ে শৈবাল চাষ শুরু করতে হবে। শৈবালের টিস্যুগুলো নরম সুতা দিয়ে দড়ির ফাকের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে যেন পানির স্রোতে তা ভেসে না যায়।
ঔষধি গুনাগুন এবং অন্যান্য সুবিধা
বাণিজ্যিক সুবিধা ছাড়াও Seaweed এর রয়েছে বিশেষ কিছু ঔষধি গুনাগুন। মানব দেহের টিউমার, হৃদরোগ, রক্তচাপ সহ আরো বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে শৈবালের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য সুবিধার মধ্যে অন্যতম হলো কম খরচেই ঘরের আসবাবপত্র যেমন: দড়ি, জাল, বাশ এসব দিয়েই শৈবাল চাষের অবকাঠামো তৈরি করা যায়। চাহিদা বেশি থাকার কারণে চাষিরা অল্প খরচে বেশি লাভবান হতে পারেন।
শেষ কথা
Seaweed বা শৈবাল বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের নারী পুরুষের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার প্রতীক। অল্প খরচে বেশি লাভবান হবার কারণে দিনদিন মানুষ আরো বেশি আগ্রহী হচ্ছে। বাংলাদেশের বিরাট এক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা আনয়নে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ হতে পারে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
জৈব সার অর্ডার করতে = Organic Fertilizers
আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook
ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে = Geo Grow Bag
দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 HIGH QUALITY GARDENING SEEDS
ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 HIGH QUALITY GARDENING TOOLS
গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 ORGANIC FERTILIZERS AND PESTICIDES
নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet