The equation of time is the roof garden – সময়ের সমীকরণে ছাদ বাগান।

The equation of time is the roof garden

আমরা আমাদের পূর্বের অধ্যায়ে আলোচনা করেছি একটি বাগানের মাহাত্ম্যের কথকতা। এই পর্বে আমরা সময়ের সমীকরণে ছাদ বাগান করবার যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা করব। সময়ের সাথে আগামীর পথে পথে বিশ্ব পরিমণ্ডলে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে, যার উষ্ণ পরশ আমাদেরকেও সিক্ত করছে।এতকিছু উন্নয়নের পথধারায় মানুষকে আজও তার বেঁচে থাকার অন্যতম উপকরণ খাবারের জন্য বারবার ফিরে যেতে হয় প্রকৃতি সৃষ্ট এবং কৃষি থেকে উৎপাদিত খাবারের কাছেই।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনেককিছু এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারলেও পারেনি, কৃত্রিম পুষ্টিকর খাবার উৎপাদন করতে। অদূর ভবিষ্যতে কী হবে সেটা সময়েই বোঝা যাবে। আপাতত সেটা না হয় ভবিতব্যের কাছেই বাঁধা থাক। মানুষ বেড়ে যাচ্ছে, সাথে সাথে নগরায়ণ, শিল্পায়ন এবং রাস্তাঘাট বিনির্মাণের ফলে আমাদের মতো দেশ থেকে চাষযোগ্য জমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। নতুন করে চাষযোগ্য জমিও আমাদের বাড়ানোর কোনো উপায় নেই। আয়তনের তুলনায় অধিক ঘনবসতির দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। আবার হাতে টাকা পয়সা থাকলেই যে সবসময় খাবার কিনে এনে খাওয়া যাবে বা খাদ্যশস্য বিদেশ থেকে আমদানি করে খাদ্য চাহিদা মেটানো যাবে এমন আশা করাটাও দুরাশারই নামান্তর। এমন নেতিবাচক চিত্র আমরা ওয়ান ইলেভেন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে দেখেছিলাম। তাই আমাদের নিজেদের খাদ্য চাহিদা যতটা সম্ভব নিজেদেরকেই মেটাতে হবে। এহেন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সময়ের সমীকরণে আমাদের ছাদ বাগানের যৌক্তিকতা সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।

আমরা যদি আমাদের রাজধানী ঢাকা শহরের কথা বিবেচনায় নিয়ে আসি, তাহলে পরিবেশ বিপর্যয়সহ ভয়াবহ এক ঘনবসতির রাজধানী হিসেবে দেখতে পাব। এই ভয়াবহ চিত্র কিন্তু রাতারাতি হয়নি। ১৯৫০ সালে রাজধানী ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩৫ হাজারের মতো; ১৯৭০ সালে ১৩ লাখ ৭৪ হাজার এবং বর্তমানে সেই সংখ্যা ২ কোটির মতো। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সাল নাগাদ ঢাকা শহরের লোকসংখ্যা ২.৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

বায়ু দূষণের দিক থেকে ঢাকা শহরের অবস্থান খুব নিচের দিকে। বিগত ১০০ বছরের ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বিশ্বের অন্যান্য জনবহুল শহরের তুলনায় তিনগুণের বেশি বেড়েছে। পরিবেশবিদরা বলছেন ঢাকা ক্রমাগত পরিণত হচ্ছে উত্তপ্ত নগরীতে। অন্য আরেক হিসাবে দেখা গিয়েছে, সবুজ গাছপালাবেষ্টিত ঢাকার রমনা এলাকার তাপমাত্রা ঢাকা শহরের গড় তাপমাত্রা থেকে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াম কম। আবার বাণিজ্যিক ও জনবহুল এলাকা হিসেবে বিবেচিত মতিঝিল এলাকার তাপমাত্রা ঢাকার গড় তাপমাত্রার চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ইট পাথরের এই ঢাকা শহরে এক বুক ভরে নির্মল শ্বাস নেওয়ার জন্য ছাদ ‘বাগান, বারান্দা বাগান, বা ব্যালকনি বাগানের কোনো বিকল্প নেই। উন্নত বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোর তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য নানান ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেমন সিঙ্গাপুর ও চায়না শহরের শহরের রাস্তাঘাট সবুজের সমারোহে আচ্ছন্ন।

জাপানে শহর এলাকার নতুন ছাদবেষ্টিত বাড়িতে বাধ্যতামূলকভাবে বাগান করবার জন্য আইনি বিধিবিধান রয়েছে। ফলে এসব শহরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের মধ্যে রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে সরকারিভাবে মৃতপ্রায় ঢাকা বা অন্যান্য জনবহুল শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ‘সবুজে বাঁচি সবুজকে বাঁচাই’, এমন স্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের স্ব-উদ্যোগেই ছাদ বাগান করবার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এবং গ্রামে এখন বেশ কিছু সুরম্য অট্টালিকাসম্পন্ন বাড়ি হয়েছে, সুতরাং আমরা আমাদের শহর এবং গ্রামের বাড়ির প্রতিটি ছাদের ওপরে ছাদ বাগান করে আমাদের ক্রম অবনতিশীল চাষযোগ্য জমি কমার বিকল্প উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। আমাদের মাননীয় সরকার প্রধান প্রায়শই বলেন, প্রতি ইঞ্চি জমির সদ্ব্যবহার করবার জন্য। সেই নিরিখে ছাদ বাগান হতে পারে একটা প্রকৃষ্ট উপায়। এতদ্ব্যতীত মোটা দাগে সময়ের সমীকরণে ছাদ বাগান করবার যৌক্তিকতা নিচে তুলে ধরা হলো:

  • যেহেতু আমাদের দেশে আনুভূমিক উপায়ে জমি বাড়ানোর সুযোগ নেই বললেই চলে। সেই নিরিখে ছাদ বাগান হতে পারে উলম্ব জমি বৃদ্ধির একটা অন্যতম উপায়।
  • ছাদ বাগানের আয়তন একটু বড় হলে সেখান থেকে পারিবারিক সবজি চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি অর্থ উপার্জনও সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা আপনি ছাদ বাগান থেকে যে সবজি পাবেন সেটা শতভাগ নিরাপদ। আর বাজার থেকে যে তরতাজা সবজি কিনে নিয়ে এসে খাচ্ছেন, সেটার মধ্যে নিশ্চিতভাবেই বিষাক্ত বালাইনাশকের একটা নির্দিষ্ট মাত্রার অস্তিত্ব বহমান রয়েছে, যা আমাদের প্রিয় শরীরের জন্যে উপকারী তো নয়ই, বরং ভীষণভাবে অপকারী!
  • ছাদ বাগানের মনোরম দৃশ্য আপনার মনে অফুরান শান্তি এনে দিতে পারে।
  • ছাদ বাগানের ছোটখাটো পরিচর্যার মাধ্যমে যে শারীরিক পরিশ্রম হবে তাতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। আর শরীর সুস্থ থাকলেই আপনার মনের মধ্যে অনুভব করবেন অনাবিল শান্তির বারতা!
  • জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও ছাদ বাগান বেশ কাজ করতে পারে।
  • ইট কাঠের নাগরিক সভ্যতার শহরগুলো থেকে দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। কিন্তু মানুষ তার শিকড়কে সহজে ভুলতে পারে না। সবুজে ভরা গ্রাম বাংলায় বেড়ে ওঠা নাগরিক সমাজের একটা অংশ সবুজকে ধরে রাখতে চায় তাদের স্ব স্ব আবাসস্থলে। তাই শৌখিন মানুষরা তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় আপন আপন বাড়ির ছাদে বাগান তৈরি করে তারা তাদের সেই অস্তিত্বের সারথিকে মনে রাখতে পারেন।
  • পারিবারিক মনোরম আড্ডা, চিত্ত বিনোদন এবং ছোটখাটো পারিবারিক অনুষ্ঠান করা যেতে পারে শৌখিনভাবে গড়ে তোলা চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর ছাদ

বাগানে। বস্তুত প্রকৃতির অপার মহিমার মধ্যে এমন কিছু লুকিয়ে আছে যেটার সৌন্দর্যকে একজন স্বাভাবিক মানুষ কখনো অবহেলা করতে পারে না।

  • পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সবুজ বাগান সৃজন করার কথা পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলছেন। যেহেতু আমাদের নতুন করে সবুজের সমারোহ গড়ে তুলবার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই, সুতরাং এটার বিকল্প হতে পারে ছাদ বাগান। শহরের সকল বাড়িতে ছাদ বাগান করলে ঐ শহরের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতেই পারে, এটা দালিলিকভাবে প্রমাণিত নিরেট সত্য কথন।
  • আমাদের শহরগুলোতে মাটির অস্তিত্ব দিনদিন কমে আসছে। ইট-কাঠের ভবনের বদলে দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে ইস্পাতের কাঠামো ও কাচে মোড়ানো বহুতল ভবন। বিশেষ করে জানালায় কাচ ও বাণিজ্যিক ভবনের টেকসই স্থাপনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে হালকা কিন্তু শক্তিশালী ধাতব পাত, ফাইবার ও গ্লাস। সূর্য থেকে তাপ ও আলো এ ধাতব ও কাচের কাঠামোর একটিতে পড়ে অপরটিতে প্রতিফলিত হয়। বারংবার প্রতিফলনের দরুন সে নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা আশেপাশের এলাকার তুলনায় সামান্য বেড়ে যায় এবং শহরজুড়ে তৈরি হয় অসংখ্য হিট আইল্যান্ড বা তাপ দ্বীপ। ভবনে বা এর কাঠামোতে বাগান স্থাপন করা হলে বাগানের গাছের পৃষ্ঠদেশ এ তাপ শুষে নেয় এবং গাছের দেহ থেকে যে পানি জলীয় বাষ্প আকারে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে যায় তা সে নির্দিষ্ট স্থানের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমিয়ে আনে। অসংখ্য ছাদ বাগান বা শহরের গাছপালা এ প্রক্রিয়ায় শহরের উচ্চ তাপমাত্রাকে কমিয়ে আনে।
  • নগরীর সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য ছাদ বাগানের কোনো বিকল্প নেই।
  • আগের দিনে বলা হতো ছাদ বাগান করলে বাড়ির ছাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেই সমস্যার এখন সহজ সমাধান বের করা হয়েছে। ফলে এখন ছাদ বাগান করলে বাড়ির ছাদ নষ্ট হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে জেনেশুনে ছাদ বাগান করতে হবে।

 আজকের দিনে আমরা ছাদ বাগান নিয়ে ভাবছি কিন্তু সে সময় বোধ করি আর বেশি দূরে নেই, যেদিন নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীর পাড়ে বিশালাকৃতির ছাদ তৈরি করে সেখানে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ব্যবহারে সব ধরনের ফল ফসল সবজি ও দানাদার শস্যের চাষ করা হবে। ওদিকে নদীতে চাষ হবে হরেক রকমের মাছ। মাছ এবং গাছ একই সাথে করা হবে। যেমনটি এখন অ্যাকোয়াফোনিক চাষ পদ্ধতির ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র পরিসরে করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে যশোরের একজন শৌখিন বাসিন্দা তাঁর বাড়ির ছাদের ওপরে ধান চাষ করে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। সেটাকে তখন সাধারণ মানুষ এক ধরনের খেয়ালি শখ বা হবি বলে ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে এমনটি করবার সময় আসতে খুব বেশি বাকি আছে বলে মনে হয় না। একদিন হয়তো দেখা যাবে, সরকারিভাবে উন্নয়ন

প্রকল্প প্রণয়ন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে নদীর পাড়ে পানির ওপরে বিশালাকৃতির ছাদ তৈরি হচ্ছে কৃষি উৎপাদনের জন্য বিকল্প জমি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে। আমরা ২০১৫ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ছাদে বোরো ধান চাষ করবার সেই পাগলামি গল্প সম্পর্কে আসুন খানিকটা জেনে নিই। ‘দোতলা বাড়ির ছাদে ধান চাষ করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যশোর শহরের বকচরের বিহারী ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম।

এ ধান চাষ করে সাফল্যও পেয়েছেন তিনি। রফিকুলের লাগানো সেই ধানের চারা বড় হয়ে এখন সেখানে ফসল এসেছে। সম্পূর্ণ ছাদ এখন ধানে ছেয়ে গেছে। রফিকুল নিজের বাড়ির ছাদে মোট ৩ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছিলেন। রফিকুল ইসলামের বাড়িটি মোট দুইতলার, রফিকুল নিজে থাকেন পরিবার নিয়ে দ্বিতীয় তলায়। নিচতলা ভাড়া দেওয়া আছে একটি কারখানাকে। রফিকুল নিজে একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি রফিকুলের বাগান করার শখ। এর আগে তিনি তাঁর ছাদে লাগিয়েছিলেন ফলের গাছ, তবে সেসব গাছ ফলন ভালো দেয়নি। যে কারণে তিনি সেসব কেটে ফেলেন। তবে রফিকুল ইসলাম দমে যাননি, তিনি সিদ্ধান্ত নেন আবার তিনি এখানে চাষ করবেন, তবে এবার অন্য কোনো ফসল। তিনি ধান চাষের সিদ্ধান্ত নেন। রফিকুল ইসলাম তাঁর ছাদের চারপাশে উঁচু রেলিং তৈরি করেন এবং সেখানে নিচে প্লাস্টিক দিয়ে আবার প্লাস্টার করেন ২ ইঞ্চি পুরু করে। ফলে ঐ অংশে মাটি দেওয়াতে বাড়ির কোনো ক্ষতি হবে না বলেই ধরা যায়। পরে তিনি সেখানে মাটি ফেলে তাতে সার হিসেবে ঘরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন আবর্জনা ব্যবহার করেন। রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম দিকে আমি যখন ধান চাষ শুরু করি, আশেপাশের সবাই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের চোখে দেখেন। তবে যখন এসব গাছ ধীরে ধীরে বড় হলো এবং ফুল এলো সবার ধারণা বদলায়।

এখন তো আমার বাগানে ধান এসে গেছে। খুব শীঘ্রই আমি ধান তুলব। ফলন খুব ভালো হয়েছে। রফিকুল ইসলাম আশা করছেন তাঁর ছাদের ৩ শতক ধানখেত থেকে তিনি ২ মণের মতো ধান পাবেন। রফিকুল ইসলাম বলেন ধানের পরিমাণ হিসেবে বিবেচনা করছেন না তিনি। তিনি একে শৌখিনতা এবং ভালো লাগার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করছেন। আমাদের দেশে রয়েছে ভূমি সংকট, দিনদিন গ্রামের চাষের জমি নষ্ট করে তৈরি করা হচ্ছে বাসের জন্য বাসস্থান। নগরায়ণ দ্রুত বাড়ছে, ফলে এক সময় এভাবে চলতে থাকলে আমরা খাদ্য সংকটে পড়ব। বিষয়টির কথা মাথায় রেখে যার যার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও সবজি কিংবা ফসল চাষের পরিকল্পনা নিলে সেটা পরিবেশ বিপর্যয় এবং খাদ্য সংকটের মোকাবিলায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে’।

সুতরাং, এমন দিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন ছাদ বাগানে মানুষ এভাবেই দানাদার ফসলের চাষ করবে। সেই সাথে শুধুমাত্র খাল-বিল, নদীনালা ও হাজা মজা পুকুরের ওপরে ছাদ দিয়ে দানাদার শস্যের চাষাবাদ করবেন, যেমনটি করে দেখিয়েছেন কৃষির সাথে অসম্পৃক্ত যশোরের একজন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। সুতরাং, ছাদ বাগানকে এখন একটা জাতীয় ও সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। আমরা এই সুদিনের প্রত্যাশায়।

আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook

ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে 👉 Geo Grow Bag

দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 High Quality Gardening Seeds

ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 High Quality Gardening Tools

গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 Organic Fertilizers and Pesticides

নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *