Beneficial effects of various nutrients. অভাবজনিত লক্ষণ ও অতিরিক্ততার কুফল

nutrients

নাইট্রোজেন (N)

উপকারী প্রভাব :
• শাকসবজির পর্যাপ্ত পাতা উৎপাদনে সহায়তা করে এবং শারীরিক বৃদ্ধির হার ত্বরান্বিত করে।
• আমিষ ও নিউক্লিক অ্যাসিড উৎপাদনে অংশগ্রহণ করে।
• ক্লোরোফিল উৎপাদনের মাধ্যমে গাছকে সবুজ বর্ণ দান করে।
• শর্করা উৎপাদন বাড়ায়।
• ফলের আকার বড় করতে সাহায্য করে।
• অন্যান্য সকল আবশ্যক উপাদানের পরিশোষণ হার বাড়ায়।
• কুশি উৎপাদনে সহায়তা করে।

নাইট্রোজেনের অপুষ্টিজনিত লক্ষণ :
• অপর্যাপ্ত ক্লোরোফিল সংশ্লেষণের ফলে গাছ স্বাভাবিক সবুজ বর্ণ হারিয়ে ফেলে।
• পাতার আকার ছোট হয় এবং শাখা প্রশাখার বৃদ্ধি হ্রাস পায়, ফলে গাছ খর্বাকার হয়।
• গাছের পাতা হালকা সবুজ থেকে হলুদাভ বর্ণ ধারণ করে এবং অকালেই ঝরে পড়ে।
• পাতার অগ্রভাগ থেকে বিবর্ণতা শুরু হয়।
• বৃন্ত এবং শাখা প্রশাখা সরু হয়।
• গোলাপি অথবা হালকা লাল রং এর অস্বাভাবিক বৃন্ত হয়।
• পুরাতন পাতার মধ্যশিরার শীর্ষভাগ হলুদাভ-বাদামি বর্ণ ধারণ করে।
• ফুল ও ফলের আকার ছোট হয়।
• ফলন কমে যায়।
নাইট্রোজেনের অতিরিক্ততার কুফল :
• নাইট্রোজেন বেশি হলে গাছের কাঠামো ও গঠন দুর্বল হয়।
• ফুল ও ফল উৎপাদনে বিলম্বিত হয়।
• পোকামাকড় ও রোগ আক্রমণ বেড়ে যায়। পাতার অংশ ভারী হলে গাছ হেলে যায়।
• অতিরিক্ত নাইট্রোজেনে অনেক ফল পানসে হয়।
• নাইট্রোজেন বেশি হলে গাছের কাঠামো ও গঠন দুর্বল হয়।
• ফুল ও ফল উৎপাদনে বিলম্বিত হয়।
• পোকামাকড় ও রোগ আক্রমণ বেড়ে যায়। পাতার অংশ ভারী হলে গাছ হেলে যায়।
• অতিরিক্ত নাইট্রোজেনে অনেক ফল পানসে হয়।

ফসফরাস (P)

উপকারী প্রভাব:
• ফসফরাস কোষ বিভাজনে অংশগ্রহণ করে।
• শর্করা উৎপাদন ও আত্মীকরণে সাহায্য করে।
• শিকড়ের বৃদ্ধি বিস্তার উৎসাহিত করে।
•গাছের কাঠামো শক্ত করে এবং নেতিয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে।
• রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করে।
• ফুল, ফল ও বীজে গুণগতমান বাড়ায়।

অপুষ্টিজনিত লক্ষণ:
• কাণ্ড এবং মূলের বৃদ্ধি হ্রাস পায়।
• গাছের বৃদ্ধি কুণ্ডলীকৃত বা পাকানো হয়।
• পুরাতন পাতা অকালে ঝরে যায়।
• পার্শ্বীয় কাণ্ড এবং কুঁড়ির বৃদ্ধি কমে যায়।
• ফুলের উৎপাদন কমে যায়।
• পাতার গোড়া রক্তবর্ণ অথবা ব্রোঞ্জ রং ধারণ করে।
• পাতার পৃষ্ঠভাগ নীলাভ সবুজ বর্ণ ধারণ করে।
• পাতার কিনারে বাদামি বিবর্ণতা দেখা যায় এবং শুকিয়ে যায়।
• রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
অতিরিক্ততার কুফল :
• ফসফরাসের পরিমাণ অধিক হলে ফলন কমে যায়।
• গাছে অকাল পরিপক্বতা আসে।
• গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।

পাটাশিয়াম (K)

উপকারী প্রভাব :

  • পটাশিয়াম উদ্ভিদ কোষের ভেদ্যতা রক্ষা করে।
  • উদ্ভিদে শ্বেতসার দ্রব্য স্থানান্তরে বা পরিবহনে সহায়তা করে।
  • লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজের কার্যকারিতা বাড়ায়।
  • আমিষ উৎপাদনে সাহায্য করে।
  • উদ্ভিদে পানি পরিশোষণ, আত্মীকরণ ও চলাচল তথা সার্বিক নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণ করে।
  • রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বড়ায়। গাছের কাঠামো শক্ত করে।
  • নাইট্রোজেন ও ফসফরাস পরিশোষণে সমতা বিধান করে।

অপুষ্টিজনিত লক্ষণ :

  • পুরাতন পাতার কিনারা থেকে বিবর্ণতা শুরু হয়।
  • গাঢ় নীল বর্ণের পাতা দেখা যায়।
  • পাতার আন্তঃশিরায় বাদামি বর্ণের টিস্যু হতে দেখা যায়।
  • পাতার উপরিভাগে কুঞ্চিত হতে বা ভাঁজ পড়তে দেখা যায়।
  • গাছ বিকৃত আকার ধারণ করে।
  • ছোট আন্তঃপর্ব সহ গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং প্রধান কাণ্ডটি মাটির দিকে নুয়ে পড়ে।
  • অনুপযোগী আবহাওয়ায় গাছ খুব সংবেদনশীল হয়।
  • পোকামাকড় ও রোগবালাই এর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়।

অতিরিক্ততার কুফল :

  • ক্যালসিয়াম ও বোরনের শোষণ হার কমে যায়।
  • বোরনের অভাবজনিত লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
  • পানি-নিঃসরণের হার কমে যায়।
  • গাছের বৃদ্ধি অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়।

সালফার (S)

উপকারী প্রভাব:

  • আমিষ উৎপাদনে অংশগ্রহণ করে।
  • ক্লোরোফিল গঠনে সাহায্য করে।
  • গাছের বর্ণ সবুজ রাখে।
  • বীজ উৎপাদনে সাহায্য করে।
  • ফসলের গুণগতমান বাড়ায়

 অপুষ্টিজনিত লক্ষণ :

  • গাছের সবুজ বর্ণ বিনষ্ট হয়, কাণ্ড সবুজ ও চিকন হয়।
  • পাতা ফ্যাকাশে সবুজ বা হলুদ আকার ধারণ করে।
  • গাছে শর্করা এবং নাইট্রোজেন বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ততার কুফল:
  • শিকড়ের বৃদ্ধি কমে যায়।
  • শারীরিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়।

ম্যাগনেসিয়াম (Mg)

উপকারী প্রভাব :

  • ম্যাগনেসিয়াম গাছকে সবুজ করে। ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরোফিলের আবশ্যক উপাদান।
  • উদ্ভিদে ফসফরাসের পরিশোষণ হার বাড়ায়।
  • গাছে শর্করা দ্রব্য ও ফসফরাস স্থানান্তরে সাহায্য করে।
  • গাছে সালোকসংশ্লেষণ হার বাড়ায়।

 অপুষ্টিজনিত লক্ষণ :

  • গাছ হলুদ হতে শুরু করে এবং পরে মরে যায়।
  • সবুজ শিরা এবং আন্তঃশিরায় হলুদাভ কলা উৎপন্ন হওয়ায় এর সবুজ বর্ণ বিনষ্ট হয়।
  • পাতার সবুজ রং বিনষ্ট হয়ে তামাটে এবং লাল হয়ে যায়।
  • পাতা আগাম ঝরে যায়।

তিরিক্ততার কুফল :

  • ক্যালসিয়াম পরিশোষণ হার কমিয়ে দেয়।
  • পাতার অগ্রভাগে পচে যাওয়ার রোগ হয়।
  • শিকড় বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
  • গাছে অধিক পরিমাণে তেল উৎপাদন হয়।

ক্যালসিয়াম (Ca)

পকারী প্রভাব :

  • ক্যালসিয়াম শিকড় ও মূলরোমের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়।
  • কোষ প্রাচীর গঠনে ক্যালসিয়াম সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
  • উদ্ভিদের শক্তিশালী কাঠামো গঠনে সাহায্য করে।
  • ক্যালসিয়াম কোষ বিভাজনের জন্য অত্যাবশ্যক। ফসলের বীজ উৎপাদন বাড়ায়।
  • ফুল ও ফলের স্থায়িত্ব এবং সংরক্ষণ গুণ বাড়ায়।

অপুষ্টিজনিত লক্ষণ :

  • গাছের কঁচি ডগা ও কুঁড়ির বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।
  • নতুন পাতার উন্মোচন বাধাপ্রাপ্ত হয়।
  • তীব্র ঘাটতিতে ফুল-ফল, গাছের ডগা ও কুঁড়ি মরে যায়।
  • শিকড়ের অগ্রভাগ ও মূলরোম মরে যেতে পারে।
  • গাছের কাণ্ড নরম হয়।
  • টমেটো, বেগুন ইত্যাদি ফল দ্রুত পচে যায়।

 অতিরিক্ততার কুফল :

পটাশিয়াম, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজের পরিশোষণ হার কমায়।

  • গাছের ভিতরে লৌহ জমা হয়।
Nutrients

জিংক বা দস্তা (Zn)

Add Your Heading Text Here

উপকারী প্রভাব:

  • বিভিন্ন প্রকার হরমোন তৈরিতে অংশগ্রহণ করে।
  • ক্লোরোফিল উৎপাদনে সহায়তা করে।
  • ফসলের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • ফসলের ফসফরাস পুষ্টি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • শিম জাতীয় সবজির উল্লেখযোগ্যভাবে ফলন বাড়ায়।

 অপুষ্টিজনিত লক্ষণ:

  • গাছের পাতায় তামাটে অথবা দাগের আকারে বিবর্ণতা দেখা যায়।
  • ক্ষুদে পাতা বা রোজেট লক্ষণ দেখা যায়।
  • নতুন পাতার গোড়ার দিক থেকে বিবর্ণতা শুরু হয়।

আন্তঃশিরার স্থানে বিবর্ণতা প্রকটভাবে দেখা দেয়।

 অতিরিক্ততার কুফল:

  • জিংকের পরিমাণ বেশি হলে গাছে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
  • অতিরিক্ত দস্তা আমিষ উৎপাদন অসুবিধার সৃষ্টি করে।

বোরন (B)

উপকারী প্রভাব:

  • গাছের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • পাতা ও ফুলের রং আকর্ষণীয় করে।
  • পরাগরেণু সবল ও সুস্থ রাখে।
  • বীজ উৎপাদনে সহায়তা করে এবং চিটা রোধ করে।

পুষ্টিজনিত লক্ষণ :

  • গাছের অগ্রভাগ মরে যায়, কাণ্ড কালো বর্ণ ধারণ করে।
  • শিকড় বৃদ্ধি হ্রাস পায়।
  • কোষ প্রাচীর ভেঙে যায়।
  • গাছ মচমচ ভাব ধারণ করে।
  • কঁচি পাতা এবং ডগা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অতিরিক্ততার কুফল :

  • কঁচি পাতা এবং ডগা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • ফলন অনেক কমে যায়।

মলিবডেনাম (Mo)

উপকারী প্রভাব:

  • মলিবডেনাম নাইট্রেট বিজারণ উৎসেচকের অত্যাবশ্যক উপাদান ও আমিষ প্রস্তুতিতে সহায়তা করে।
  • শিম জাতীয় সবজিতে নাইট্রোজেন সংযোজন ও নডিউল উৎপাদন বাড়ায়।
  • লৌহ পরিশোষণ ও স্থানান্তরে মলিবডেনাম সহায়তা করে।
  • নাইট্রোজেন অ্যানজাইমের কার্যকারিতা বাড়ায়।

অপুষ্টিজনিত লক্ষণ  :

  • গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
  • গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।
  • হুইপ টেইল লক্ষণের সৃষ্টি হয়।

    • পাতার কিনারে বাঁকিয়ে যায়।

  • ফুল ঝরে পড়ে এবং ফল কম হয়।

 অতিরিক্ততার কুফল :

  • মলিবডেনাম এর অতিরিক্ততায় গাছে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়
  • গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।
  • গাছের পাতাগুলো মরিচা ভাব ধারণ করে এবং ধীরে ধীরে পচে যায়।

ম্যাঙ্গানিজ (Mn

উপকারী প্রভাব :

  • গাছের হরমোন সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
  • গাছের রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • লৌহ পুষ্টি উপাদান নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 অপুষ্টিজনিত লক্ষণ :

  • হলুদ রোগ বা ফিকে রোগ দেখা যায় ফলে বিবর্ণ হয়ে যায়।
  • কঁচি পাতার আন্তঃশিরায় প্রথমে হলুদাভ ভাব দেখা যায়।
  • পরবর্তীতে সম্পূর্ণ পাতায় হলুদ দাগের আবির্ভাব হয়।

 এই দাগগুলি সবুজ শিরা দ্বারা আবৃষ্ট থাকে।

 অতিরিক্ততার কুফল :

  • অতিরিক্ত ম্যাঙ্গানিজ গাছের পাতাকে সম্পূর্ণ সাদা করে দেয়।

লৌহ (Fe)

উপকারী প্রভাব :

  • গাছের ক্লোরোফিল উৎপাদনে সাহায্য করে।
  • শিকড় ও মূলরোমের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • গাছকে সজীব ও সতেজ রাখে।

অপুষ্টিজনিত লক্ষণ :

  • ক্লোরোফিল এর উৎপাদন কমে যায়।
  • কঁচি পাতার শিরার স্থান বিবর্ণ হতে দেখা যায়।
  • লৌহের পরিমাণ কম থাকলে গাছ সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায়।

 

অতিরিক্ততার কুফল:

  • অতিরিক্ত লৌহের কারণে ক্লোরোফিল উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
  • আন্তঃশিরায় বিবর্ণতা দেখা যায়।

তামা (Cu)

উপকারী প্রভাব :

  • তামা গাছের ক্লোরোফিল উৎপাদনে সাহায্য করে।
  • বেশকিছু সংখ্যক উদ্ভিদ হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে।
  • তামা প্রয়োগে ফসলের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

 অপুষ্টিজনিত লক্ষণ :

  • তামার অভাবে গাছের অগ্রভাগে ডাইব্যাক রোগ দেখা দেয়।
  • পুরাতন পাতা বিবর্ণ ভাব ধারণ করে।
  • গাছের উপরের পাতাগুলো নুয়ে পড়ে।
  • ডাইব্যাক হওয়ার কারণে অগ্রভাগের নিচেই ছোট ছোট পাতা সংবলিত রোজেট এর মতো দেখায়।

 অতিরিক্ততার কুফল :

  • তামার অতিরিক্ততায় গাছের নতুন বৃদ্ধির জায়গায় বিভিন্ন রকমের বিবর্ণ উপসর্গ দেখা দেয়।

ক্লোরিন (CI)

উপকারী প্রভাব :

  • গাছকে সজীব ও সতেজ থাকতে সহায়তা করে।
  • শিকড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • রোগবালাই প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

অপুষ্টিজনিত লক্ষণ :

  • ক্লোরিনের অভাবে গাছকে রোগাক্রান্ত দেখায়, অনেক জায়গায় পচনের লক্ষণ দেখা দেয়।
  • গাছের পাতায় তামাটে ভাব দেখা যায়।
  • শিকড় ও মূলরোমের বৃদ্ধি কমে যায়।

অতিরিক্ততার কুফল:

  • অতিরিক্ত ক্লোরিনের জন্য পাতা পুড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।
  • ফসলের গুণগতমান হ্রাস পায় না। খেতে স্বাদ লাগে না।

আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook

গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 ORGANIC FERTILIZERS AND PESTICIDES

ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে = Geo Grow Bag

দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 HIGH QUALITY GARDENING SEEDS

ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 HIGH QUALITY GARDENING TOOLS

নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet

Our Product Categories

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *