Disease management of eggplant – বেগুনের রোগ ব্যবস্থাপনা।

Disease management of eggplant

ভূমিকা :

 জীবন্ত যা কিছু ফসলের ক্ষতি করে তাই বালাই। বেগুন ফসলে কিছু কিছু রোগ আছে যা বেগুনের ফলনকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিতে পারে। তাই বেগুন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ ফসলের প্রধান প্রধান রোগ ব্যবস্থাপনা জানা জরুরি।

উদ্দেশ্য

এ সেশন পরিচালনা শেষে প্রশিক্ষণার্থীগণ বেগুন ফসলের রোগের নাম জানতে পারবে। • প্রধান প্রধান রোগের নাম, অনুকূল পরিবেশ, ক্ষতির লক্ষণ ও দমন ব্যবস্থাপনা জনতে পারবে। উপকরণ: ম্যানিলা পেপার, মার্কার পেন, বোর্ড, প্রধান প্রধান ক্ষতিকর পোকার নমুনা, পোকার ক্ষতির লক্ষণের নমুনা ইত্যাদি। সময়: ৬০ মিনিট

 সেশন পরিচালনা পদ্ধতি

  • প্রথমে সহায়তাকারী বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা প্রদান করবেন।
  • উদ্দেশ্যের সাথে সংগতিপূর্ণ বিষয়ের উপর অংশগ্রহণমূলক আলোচনা করবেন।
  • অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে বেগুন ফসলের প্রধান প্রধান রোগের একটি তালিকা বোর্ডে লিখে দিবেন।

• প্রশিক্ষণার্থীদের মাঠে নিয়ে বেগুন ফসলের প্রধান রোগ দেখাবেন ও ক্ষতির লক্ষণ সরেজমিনে দেখাবেন।

সম্ভাব্য প্রশ্নাবলি

  • বেগুন ফসলের প্রধান প্রধান রোগ কী কী?
  • বেগুন ফসলের প্রধান প্রধান রোগ কীভাবে দমন করা যাবে?
  • ক্ষতির লক্ষণ কী?

উপসংহার

বেগুন ফসলের প্রধান প্রধান রোগ ব্যবস্থাপনা সম্বন্ধে প্রশিক্ষণার্থীদের ধারণা দিয়ে বেগুনের উৎপাদন বৃদ্ধির পরামর্শ দিবেন।

বেগুনের  ফলপচা কাণ্ড পচা রোগ

আক্রান্ত ফসল- বেগুন বাহক- মাটি, বীজ, আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ। অনুকূল অবস্থা- আবহাওয়া ভিজা ও গরম, পুষ্টির অভাব

রোগের লক্ষণসমূহ:

চারা গাছ থেকে বয়স্ক গাছ পর্যন্ত বেগুনের এ রোগ দেখা যায়। এ রোগ হলে প্রথমে খেতের মাঝে মাঝে দুই একটি গাছ ঢলে যেতে দেখা যায়। আক্রান্ত গাছের মাটির সংযোগস্থলে কাণ্ড সরু হয়ে যায়। কাণ্ডের ছাল শুকিয়ে মরে ভিতরের কাঠ বেরিয়ে পাড়ে। আক্রান্ত স্থানে গাছ বাদামি থেকে কালো ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পাতায় আক্রান্ত হলে পাতায় চক্রাকার ধূসর বা বাদামি দাগ পড়ে এবং

অসম একটি কাল রেখা দ্বারা বেষ্টিত থাকে। আক্রান্ত গাছের পাতা ধীরে ধীরে হলুদ বর্ণ ধারণ করে এবং ঝরে পড়ে। এই রোগ পাতা থেকে বোঁটা, বোঁটা থেকে কাণ্ড এবং শেষে ফলে আক্রমণ করে। বিশেষ করে অপরিণত ফলে কালো ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং ফল পচে যায়। ক্ষতের মধ্যে কালো পিকনিডিয়াম দেখা যায়।

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা

  • সুস্থ ও রোগমুক্ত ভালো বীজ বপন করে চারা তৈরি করা।
  • বীজ শোধন করা প্রতি কেজি বীজে ২ গ্রাম প্রভেক্স অথবা ব্যাভিস্টিন দ্বারা শোধন করা যায়। রসুন এর রস দ্বারা বীজ শোধন করা।
  • বীজতলার মাটি শোধন।
  • জমিতে যাতে পানি দাঁড়াতে না পারে সে ব্যবস্থা করা।
  • প্রাথমিকভাবে দু-একটি গাছে আক্রমণ দেখা দিলে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে কয়েকদিন রোদে শুকিয়ে নেওয়া এবং সে সময় সেচ দেওয়া বন্ধ করা।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ পদ্ধতি অবলম্বন করা।
  • একই জমিতে পর পর বেগুন অথবা বেগুন জাতীয় অন্যান্য সবজি যেমন টমেটো, আলু ইত্যাদি চাষ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ফসলে অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ধ্বংস করা।
  • রোগ দেখামাত্র অনুমোদিত বালাইনাশক স্প্রে করা। যেমন- প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন বা বর্দো মিশ্রণ, টিল্ট প্রতি লিটারে ৫ মি.লি.।

আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook

ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে = Geo Grow Bag

দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 HIGH QUALITY GARDENING SEEDS

ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 HIGH QUALITY GARDENING TOOLS

গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 ORGANIC FERTILIZERS AND PESTICIDES

নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet

Our Product Categories

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *