Independent agricultural Bangladesh pride – কৃষি আমাদের অহংকার

Independent agricultural

স্বয়ম্ভর কৃষিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমাদের অহংকার। Independent agricultural এর হাত ধরে বাংলাদেশ আজ কৃষিতে অনেক দূর আগিয়ে গেছে। কৃষি, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাট, ভৌত অবকাঠামো, তথ্য প্রযুক্তিসহ অনেক ক্ষেত্রে দেশের প্রভূত উন্নতি হয়েছে; মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, বেড়েছে আর্থিক সক্ষমতাও; ঈর্ষণীয় উন্নতি হয়েছে কৃষির সকল সেক্টরে; আর এই উন্নতির অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করেছে এদেশের সাধারণ কৃষক এবং এই সাধারণ কৃষককে নিত্যনতুন লাগসই ও টেকসই প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করেছেন, কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ও তাদের সহযোগীরা। বাংলাদেশে কৃষির এ উন্নতি অভাবনীয়। ফলে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ম্ভরের দেশে পরিণত হয়েছে। জাতীয় পরিমণ্ডল থেকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বকীয়তায় স্থান করে নিয়েছে বাংলার কৃষি। দেশ স্বাধীনের অব্যাহতির পরে এ দেশে আবাদযোগ্য জমি ছিল ১ কোটি ৮৫ লক্ষ হেক্টর এবং মোট খাদ্য উৎপাদন ছিল ৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন। বর্তমানে সেই আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৫ লক্ষ হেক্টর অথচ দেশে এখন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে ৩ গুণেরও বেশি; ভুট্টাসহ এর পরিমাণ ৬ কোটি মেট্রিক টন ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে দেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি আর বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটিতে। আবার প্রতিবছর দেশে সংযোগ হচ্ছে ২৪ লক্ষ নতুন মুখ। তা সত্ত্বেও আমাদের কৃষি কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়েনি; মাথা উঁচু করে সগৌরবে চলমান রয়েছে। কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়!! জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষি জমি কমতে থাকার সাথে সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অনন্য উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টা বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলার কৃষি। দুই যুগ আগেও দেশের অর্ধেক এলাকায় একটি ও বাদবাকি এলাকায় দুটি ফসল হতো। বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে দুটি ফসল হচ্ছে। স্বাধীনতার পর দেশে প্রতি হেক্টর জমিতে ২.০ টন চাল উৎপাদিত হতো সেটা এখন ৬.০ টনের উপরে চলে গেছে। আর এভাবেই প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ। কেবল উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, হেক্টরপ্রতি ধান উৎপাদনের দিক থেকেও অধিকাংশ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। আমন, আউশ ও বোরো ধানের বাম্পার ফলনে বছরে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বে গড় উৎপাদনশীলতা প্রায় ৩ টন, আর বাংলাদেশে তা ৪.১৫ টন।

হেক্টরপ্রতি ভুট্টা উৎপাদনে বৈশ্বিক গড় ৫.১২ টন, সেখানে বাংলাদেশে এ হার ৬.৯৮ টন। বাংলার কৃষকরা এখানেই থেমে থাকেননি। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অন্যতম উদাহরণ। জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশের সাফল্যকে বিশ্বের জন্য উদাহরণ হিসেবে প্রচার করছে। দেশে গত এক যুগে রীতিমতো সবজি বিপ্লব ঘটে গেছে। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার তথ্যমতে, সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়। এক সময় দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোরেই কেবল সবজির চাষ হতো। এখন দেশের প্রায় সব এলাকায় সারাবছরই সবজির চাষ হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ৬০ ধরনের ২০০টি জাতের সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। এসব সবজির ৯০ শতাংশ বীজই দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। ফুল চাষের এক উজ্জ্বল সম্ভাবনায় রয়েছে বাংলাদেশের কৃষি। স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশে ফুলের ব্যবহার ছিল খুবই সীমিত। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরপর সাড়ম্বরে পালিত হতে থাকে ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক দিন মহান একুশে, সে সময় শহর এলাকায় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর প্রবণতা লক্ষণীয় ছিল। এরপর স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে মানুষের জীবনযাত্রা মানোন্নয়নের সাথে রুচিবোধের বিকাশ সাধনের পাশাপাশি ফুলের ব্যবহারও বাড়তে থাকে। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ফুল চাষের শুভসূচনা হয় যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলা থেকে। ১৯৮৩ সালে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা গ্রাম থেকে ফুল চাষের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে যশোর জেলার ৫টি উপজেলার ৭৫টি গ্রামের ৪৫০০ জন কৃষক রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, লিলিয়াম, রডস্টিক, জারবেরা প্রভৃতি বিভিন্ন জাতের ফুলের চাষ হচ্ছে। সারাদেশের মোট ফুল চাহিদার ৭০% পূরণ হচ্ছে যশোর এলাকার উৎপাদিত ফুল থেকে। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির মতে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ৩৭টি জেলায় কমবেশি ১৮ ধরনের বেশি ফুল উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ১৯টি জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে ২০০৯-২০১০ সালে ৩৭টি জেলায় মোট ৯৩১.১ হেক্টর (২৪০০ একর) জমিতে ফুল চাষ হয়। তা থেকে মোট ৮২.৭৪ কোটি (সংখ্যা) ফুল উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ফুল উৎপাদন হয়। ২০টির অধিক দেশে আমাদের ফুল রপ্তানি হচ্ছে।

ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সফলতা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ১৯৭০ সাল থেকে দেশি জাতকে উন্নত করে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাত উদ্ভাবনের পথে যাত্রা করেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটউট (বারি), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা), বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএসআরআই), বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিজেআরআই) থেকে অসংখ্য লাগসই ও টেকসই ফসলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে এবং সেসব নতুন প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সবিশেষ ভূমিকা পালন করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে বাংলাদেশের কৃষি এখন অনেক অনেক উপরে অবস্থান করছে। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশের নাম। ৮৫ লাখ টন আলু উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। স্বীকৃতিটি দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। আলু উৎপাদন সাফল্যের এ এক অপার বিস্ময়। এক দশক আগেও আলুর উৎপাদন ছিল অর্ধলাখ টনের নিচে। এখন তা এগোচ্ছে কোটি টনের দিকে। সাড়ে ১০ লাখ টন আম উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্বে ৯ম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম এখন বিলেত যাচ্ছে। বাংলাদেশের আমের ক্রেতা বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। বিগত ২০১৫ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ৭৮৭ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছিল। এর মধ্যে ৫২০ মেট্রিক টন আম গিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে। বিগত ২০১৫ সালে শ্রীলংকায় প্রথমবারের মতো দু’দফায় ২৫ মেট্রিক টন সরু চাল রফতানি করেছে বাংলাদেশ! মৎস্য ও গবাদিপশু সেক্টরেও বাংলাদেশের উন্নতি ঈর্ষণীয়। সব মিলিয়ে কৃষি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য আমাদের গর্ব ও অহংকারের শেষ নেই। জয়তু বাংলার কৃষি!

দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 High Quality Gardening Seeds

আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook

গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 Organic Fertilizers and Pesticides

ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে 👉 Geo Grow Bag

ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 High Quality Gardening Tools

নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet

Our Product Categories

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *