Squash Cultivation- কম খরচে বেশি লাভ
Squash বা স্কোয়াশ দিনদিন বাংলাদেশে জনপ্রিয় একটি সবজিতে পরিণত হচ্ছে। বিদেশি এই সবজি চাষ করে বর্তমানে শত শত কৃষক অল্প খরচ করেই অধিক লাভবান হতে পারছেন। তবে চলুন আজকে আমরা জেনে আসি বাংলাদেশের স্কোয়াশ চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে –
Squash বা স্কোয়াশ কি?
দেখতে অনেকটাই শসার মত হলেও এই সবজির আকার আকৃতি বড় একটা মিষ্টি কুমড়ার সমান পর্যন্ত চলে যেতে পারে। দেখতে অনেকটা নলাকার এবং সাধারণত গারো সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে বিদেশি এ ফল Squash. গড়ে ১.০৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে এই ফল। আর বাংলাদেশে এই সবজির জীবনকাল প্রায় ৮০ থেকে ৯০ দিন।
বাংলাদেশে Squash এর জাত
বর্তমানে পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতের স্কোয়াশ চাষ হয়ে থাকলেও বাংলাদেশের বারি স্কোয়াশ-১ একটি উচ্চ ফলনশীল জাত হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সে কারণে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গায় এই জাতের স্কোয়াশ ই বেশি চাষ করা হয়।
কখন এবং কোথায় চাষাবাদ করা বেশি উপযুক্ত?
স্কোয়াশ চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত হলো বেলে-দোআশ টাইপের মাটি। এছাড়াও বসতবাড়ি কিংবা চরেও এর আবাদ সুবিধা জনক। সাধারণত শীতকালে চাষাবাদের জন্য অর্থাৎ আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্কোয়াশ এর বীজ বপন করা হয়। স্কোয়াশ চাষের জন্য অনুকূল তাপমাত্রা হলো ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিম্ন আর্দ্রতা এবং প্রচুর সূর্যালোক Squash চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি উত্তম। প্রয়োজন অনুসারে শতক প্রতি প্রায় ১০ গ্রামের মতো বীজ লাগতে পারে।
Squash চাষাবাদ পদ্ধতি
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। Squash চাষাবাদের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
-
বীজ বপন ও চারা রোপন
স্কোয়াশ এর বীজ আপনি ইচ্ছে করলে জমিতে সরাসরি রোপন করতে পারেন। তবে সাধারণত ছোট আকারের পলিথিন ব্যাগে চারা উৎপাদন করা হয়। এক্ষেত্রে ফলন ভালো হয়। এছাড়াও মাদায় বপন করার জন্য স্কোয়াশ বেশ উপযুক্ত। প্রায় তিন ফিট দূরে প্রতিটি মাদায় দুই থেকে তিনটি বীজ লাগানো হয়। চারা রোপণ করার সময় গাছ থেকে অন্য গাছের দূরত্ব দেড় ফুট রাখবেন। আর গাছের এক লাইন থেকে অন্য লাইনের দূরত্ব রাখবেন তিন ফুট। বীজগুলো প্রায় এক ইঞ্চি গভীরে বপন করলে ভালো হয়। আর চারা গজালে মাটি গুলো একটু উপরে তুলে দিতে হবে। আশা করা যায় ১০ থেকে ১২ দিনের ভিতর চারা থেকে গাছ সৃষ্টি হবে এবং বীজ বপণের চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ফল ধরা আরম্ভ করবে।
-
সার, সেচ ও নিষ্কাশন পদ্ধতি
Squash এর চারা রোপনের ১০ থেকে ১২ দিন আগেই গর্তের সাথে জৈব সার মিশিয়ে রাখতে হবে। চারা রোপনের পর সার দিয়ে হালকা সেচ দিতে হবে। সাধারণত এরা সপ্তাহে প্রায় ২ ইঞ্চি পানি শোষণ করে। শীতকালে চাষ করলে এক মাস পর পর সেচ দিবেন। আর খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত পানি যেন জমে না থাকে।
-
Squash চাষে সতর্কতা
চারা বের হবার ৫-৬ দিন পর সাদামাছি কিংবা জাব পোকার আক্রমণ হতে পারে। তাই ভালো কোম্পানির দুই তিনটি গ্রুপ ব্যবহার করবেন। এছাড়াও সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। ভাইরাস আক্রান্ত হলে গাছকে ট্রিটমেন্ট না করে সরাসরি তুলে ফেলবেন এবং মাটি চাপা দিবেন।
-
ফসল উত্তোলন
Squash ফল ধরার ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় আপনি স্কোয়াশ জমি থেকে সংগ্রহ করবেন। তবে সাধারণত কৃষকেরা ফলের বোটা খয়রি রং ধারণ করে গাছ মরতে শুরু করলে ফসল উত্তোলন করা শুরু করেন। প্রতি হেক্টর জমিতে এর গড় ফলন প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত হতে পারে। একটি গাছে গড়ে ১২ থেকে ১৬ কেজি ফল ধরে এবং বিঘা প্রতি প্রায় ২৪ হাজার কেজি ফসল হয়ে থাকে।
-
Squash বাজারজাতকরণ
বর্তমানে Squash এর চাহিদা স্থানীয় বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুপার শপেও ব্যপক আকারে লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও হোটেল কিংবা রেস্তোরাতে বর্তমানে স্কোয়াশ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
উপসংহার
এখানে আমরা সংক্ষেপে জানলাম Squash কি এবং বাংলাদেশে কিভাবে কৃষকেরা এই লাভজনক সবজি উৎপাদন করে তাদের ভাগ্য ফিরিয়ে আনছেন। বর্তমানে কৃষি গবেষকরা সম্ভাবনাময়ী এই সবজির উৎপাদনে কৃষকদের ব্যপকভাবে উৎসাহ প্রদান করছেন।
আমাদের ফেসবুক পেজ = Siraj Tech Facebook
ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে = Geo Grow Bag
দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ফল ও শাক-সব্জির বীজ পাবেন আমাদের কাছে। 👉 HIGH QUALITY GARDENING SEEDS
ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 HIGH QUALITY GARDENING TOOLS
গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 ORGANIC FERTILIZERS AND PESTICIDES
নদী ও পুকুরের পাড় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও রোল। 👉Geobag Geotube and Geosheet