What is pile? - পাইল কি ? - Pile Estimate and Pile Installation Method step by step Bangla
What is pile? – আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের পাইল হয়ে থাকে। তবে সবথেকে বেশি হয় কাস্ট ইন সিটু ও সেন্ড পাইল। এখানে সবগুলো পাইল নিয়ে আলোচনা করবো
১.পাইল কি?
উঃ প্রয়োজনীয় ভারবহন ক্ষমতা সম্পন্ন
স্তরের গভীরতা বেশি অথবা ভূ-পৃষ্ঠ
অত্যাধিক ঢাল বিশিষ্ট হলে যে কাঠামো
প্রদান করা হয় তাকে পাইল বলে।
২.পাইলের কাজ কি?
উঃকাঠামোর লোডকে স্থানান্তর করাই
পাইলের প্রধান কাজ।যেখানে মাটির
ভারবহন ক্ষমতা কম সেখানে পাইলের
মাধ্যমে কাঠামোর লোডকে ভারবহন
ক্ষমতা স্তরের উপর ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
৩. নির্মাণ সামগ্রী অনুযায়ী পাইল কত প্রকার?
উঃ ৫ প্রকার।যথা-
১.টিম্বার পাইল
২.কংক্রিট পাইল
৩.কম্পোজিট পাইল
৪.স্টিল পাইল
৫.স্যান্ড পাইল
৪.কাস্ট ইন সিটু পাইল কাকে বলে?
উঃনির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত গর্ত খনন করে
স্বস্থানে ঢালাই করে যে পাইল তৈরি করা
হয় তাকে কাস্ট ইন সিটু পাইল বলে।
৫.প্রি-কাস্ট পাইল কাকে বলে?
উঃ কার্যস্থল থেকে দূরে সুবিধা মত স্থানে
ঢালাই করে যে পাইল তৈরি করা হয় তাকে
প্রি-কাস্ট পাইল বলে।
৬.পাইল ক্যাপ কাকে বলে?
উঃপাইল ও মূল বুনিয়াদের সংযোগ স্থলে
যে কাঠামো তৈরি করা হয় তাকে পাইল
ক্যাপ বলে।
৭.পাইল ক্যাপ কেন দেওয়া হয়?
উঃপাইলের মাথা মূল ভিত্তির মধ্যে
প্রবেশ করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন তা না
হলে
ভিত্তির সরণ তথা অসম বসন হতে পারে।
তাই পাইলে ক্যাপ দেওয়া হয়।
৮.পাইলের মাথা ভাঙ্গা হয় কেন?
উ: ২টি কারনে।১.কংক্রিট ঢালাইকালে
পাইলের নিচে কাদা পাম্পিং সিস্টেমে
উপরে উঠে আছে।এই কাদা কংক্রিট কে
দুর্বল করে।এই দুর্বল কংক্রিট কে সরানোর
জন্য পাইলের মাথা ভাঙ্গা হয়।
২.কাঠামোকে পাইল ভিত্তির সাথে
সংযোগ করার জন্য।
৯.পাইল বসানোর পদ্ধতিগুলো কি কি?
উঃ পাইলকে সাধারণত ৪ পদ্ধতিতে বসানো
হয়।যথা-
১.ড্রপ হ্যামার দ্বারা
২.স্টিম হ্যামার দ্বারা
৩.ওয়াটার জেট দ্বারা
৪.বোরিং
১০.পাইলের কাজে কয়েকটি যন্ত্রের নাম বল?
উঃ ক.রিক বা ত্রিপায়া
খ.চিজেল
গ.ট্রিমি পাইপ
ঘ.নজেল
ঙ.কেজিং
ছ.ড্রিলিং পাইপ
জ.বাকেট
ঞ.ফানেল
ট.উইঞ্জ মেশিন ইত্যাদি
১১.পাইলের ডায়া ২০” হলে চিজেল বা কাটার কত হবে?
উঃ ১৮” হবে।অর্থাৎ ২” কম হবে।
১২.পাইলের ফলস কভারিং বা নিচের সিসি কত?
উঃ১.৫’ – ২’ হবে।
১৩.স্পাইরাল এর সূত্র কি?
উঃ Nπ(D+d)+8d
১৪.পাইলের ওয়াশ টাইম কত?
উঃ ৩০ মিনিট বা যতক্ষন পর্যন্ত পরিস্কার
পানি না বের হয়।
১৫.পাইলের আয়তনের সূত্র টা বল।
উঃ ΠD²/4×H.
১৬.পাইলের ক্লিয়ার কভার সাধারণত কত?
উত্তর : ৩” হয়ে থাকে।
১৭. পাইলের ভিতরকার রিংয়ের মাপ বল।
উঃ- পাইলের ভিতরকার রিংয়ের মাপ নির্নয় করার সুত্রঃ πD (এখানে D= পার্শ্ব কভারিং, স্পাইরাল এবং মুল রডয়ের ব্যাস বাদ দিয়ে যা থাকবে)
স্পাইরাল এর দৈর্ঘ্য নির্ণয় করার সূত্রঃ πDH/S. (এখানে D= পার্শ্ব কভারিং (-) পাইলের ব্যাস, H= পাইলের উচ্চতা এবং S= স্পাইরাল এর পাশাপাশি দুরত্ত)
নিচে কাস্ট ইন সিটু পাইল ও সেন্ড পাইলের প্রাকটিক্যাল ভিডিও দেওয়া হলো
পাইল করার আগে যে সব বিষয় গুলো জানা খুবি জরুরী । কীভাবে পাইলের কাজ করে পর্ব -১
খুব সহজেই জেনে নিন কীভাবে পাইলিং করা হয়, পর্ব- ২
খুব সহজেই জেনে নিন কীভাবে পাইলিং করা হয়, পর্ব -3
খুব সহজেই জেনে নিন কীভাবে পাইলিং করা হয়, পর্ব-৪
পাইলের ওয়াশ শেষ হয়েছে বুঝব কিভাবে ।| পর্ব ৫
পাইল করার সময় যে ভাবে রডের জালি ও ট্রিমি পাইপ নামাতে হবে, পর্ব-৬
ট্রিমি পাইপ নামানো ও পাইল কাস্টিং বা ঢালাই দেওয়ার নিয়ম, পর্ব-৭
ট্রিমি পাইপ নামানো ও পাইল কাস্টিং বা ঢালাই দেওয়ার নিয়ম, পর্ব-৮
খুব সহজেই জেনে নিন কীভাবে সেন্ড পাইলিং করা হয় | Sand Piling Works in Bangladesh
******** কাজে সতর্কতা**********
পাইলের কাজ খুবই ইম্পরট্যান্ট ও খুবই সেনসেটিভ । তাই পাইলের কাজ কিছু বাড়তি সতর্কতা অবমম্বন করতে হবে , যা একজন ইঞ্জিনিয়ারের অবশ্যই জানতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে।
পাইলের কাজে আপনাকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে, কারনে আপনাকে কাজে ফাকি দেবার জন্য ওয়ার্কার বিভিন্ন অযুহাত দেখাতে পারে তাই কিছু জিনিস লক্ষ্য রাখবেনা।
- > একটা খাচায় ৩ টা ব্লোক দিলেই হয় না,আপনি অবশ্যই ৫-৬ ফিট পর পর ব্লক দিবেন । ওয়ার্কার হয়ত বলতে পারে অমুক সমুক প্রজেক্টে কাজ করেছি সেখানেও ৩/৪ টা ব্লোক দিছি” সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ৫-৬ ফিট পর পর ব্লক দেবার জন্য প্রেশার দিবেন এবং ভাল ভাবে মনিটরিং করবেন।
- > আপনার প্রয়োজনীয় ডায়ার বেস রিং দিতে হবে ( যেটার উপর মেইন রড বেধে পাইলের খাচা তৈরি করা হয়)। অবশ্যই কাজ শুরু করার আগে বেস রিং মি. মি. এ মেপে নিবেন।
- > প্রেত্যেকটি মেইন বার একটির থেকে অন্যটি সমান দূরত্ব / গ্যাপ আছে কিনা ভাল ভাবে দেখে নিবেন।
- > ডিজাইনে স্পাইরালের স্পেস/গ্যাপ যদি ৫ বা ৬ ইঞ্চি থাকে, মিস্ত্রি বলবে স্যার গ্যাপ ৭” বা ৮” করে দেই, কিন্তু আপনি অবশ্যই ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করাবেন।স্পাইরাল এর স্পেস/গ্যাপ টিক মত আছে কিনা মেপে নিবেন। ভুল করলে পুনরায় করাবেন।
- > অল্টারনেট করে গুনা এবং ওয়েল্ডিং করাবেন। অনেক সময় দেখা যায় ওরা নাম মাত্র ওয়েল্ডিং করে যা পরে ছুটে যায়। ভাল মানের ওয়েল্ডিং অবশ্যই জয়েন্ট এর দুপাশেই থাকবে। ওয়েল্ডিং এর পরিমানটাও বেশি থাকবে। স্পাইরাল এর জয়েন্টেও ওয়েল্ডিং করতে হবে।
- > পাইল পয়েন্ট এর সেন্টার করার সময় বলবে “দুই এক ইঞ্চি এদিক সেদিকে করা যাবেনা । একদম সঠিক ভাবে সেন্টারিং করতে হবে । পাইলের কেসিং বসানোর সময় ঠিক হয়ে যাবে।
- > অনেক সময় নিচে কাদা বা বালি জমা হয়ে গভীরতা কমে যায় তাই ১.৫ থেকে ২ ফিট বোরিং বেশি করাবেন।
- > বোরিং করার পূর্বে অবশ্যই ড্রিল রড মেপে নিবেন ও আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী মার্ক করে রাখবেন।
- > যতটুক বোরিং করবেন ততটুক ট্রিমি পাইপ মেপে নিবেন। বাস্তব ক্ষেত্রে কম বেশি হয়। দেখা যায় ৭০ ফিট এর জন্য ৫ টি ট্রিমি পাইপ যুক্ত করতে হবে কিন্তু ৫ টি ট্রিমি পাইপের লেন্থ ৮০ আশি ফিট তাই ওরা ফাকি দেবার জন্য ৪ টি পাইপ যুক্তু করতে চাইবে। কিন্তু ট্রিমি পাইপ ৫ টি যুক্ত করতে হবে।
- > বোরিং শেষে ভাল ভাবে ওয়াশ করতে হবে। তবে বেশি সময় ওয়াশ করলে বালি বা মাটি ভেংগে পড়বে। আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে আসলেই ঐ স্থানের বালি বা মাটি ভেংগে পড়ার মত কিনা?
- > ওয়াশ করা পানি টিউবওয়েল এর মত ফ্রেশ আসবেনা তবে আপনি ওয়াশ করার সময় পানি হাতে নিয়ে দেখবেন যদি পানিতে কাদার পরিমান কম হয় বা হাতে কাদা জমা না হয়, পানি ফেলে দিলে হাত পরিষ্কার দেখায় তবে ওয়াশ ঠিক মত হয়েছে।
- > পাইলের খাচা নামানোর সময় খেয়াল রাখবেন ব্লক যেন কেসিং এর সাথে লেগে ভেঙে না যায়। আর আপনি
- > পাইলের লেন্থ বেশি হলে একাধিক খাচা যুক্ত করার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্র আপনি লক্ষ্য রাখবেন ঠিকমতো ল্যপিং এর জোড়া দেয়া হয়েছে কিনা?প্রত্যেক ল্যপিং এ মিনিমাম তিনটি ওয়েল্ডিং করাবেন এবং প্রত্যেকটি ওয়েল্ডিং এর লেন্থ হবে ৩ ইঞ্চি।
- > ডিজাইন অনুযায়ী খাচার মাথার লেভেল সমান রাখতে হবে।
- > খাচার রডের মাথা যদি মাটি লেভেল থেকে নিচে থাকে সেক্ষেত্রে খাচার মাথার ৩/৪ ফিটের মাঝে ব্লক দিতে হবে।
- > ঢালাই করার সময় বালি, পাথর, সিমেন্ট এর অনুপাত ঠিক রাখতে হবে। অনেক সময় ঢালাই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য অনুপাতের চেয়ে বেশি বালু পাথর দিয়ে দেয়। এটা কোন ভাবেই করতে দেয়া যাবেনা। অনেক সময় ভাল ভাবে মিক্স হবার আগেই মেশিন থেকে ঢেলে ফেলে তাই খেয়াল রাখবেন মিক্সিং ঠিক আছে কিনা?
- > ট্রিমি পাইপ পূর্ন না করে ট্রিমি পাইম তুলে ফেলা যাবেনা । এ ক্ষেত্রে কোন ভাবেই ছাড় দেয়া যাবেনা। যতক্ষন পর্যন্ত না, পূর্ন না হয়ে ট্রিমি পাইপের জোরা কেসিং এর উপরে উঠে না আসে বা একটি পাইপ সম্পুর্ন উপরে উঠে না আসার আগে ট্রিমি পাইপ খোলা যাবেনা।
- > সব সময় ঢালাই ওভার করতে বলতে হবে।
- > সর্বোপরি পাইলিং কাজের প্রতিটা ধাপ গুরুত্ব সহকারে মনিটরিং করতে হবে।
প্রি কাস্ট পাইল ঢালাই এর আগে অবশ্যই যেসব বিষয় গুলো দেখে নেয়া অতি জরুরী
১. বেড (যে যায়গাতে ঢালাই স্থাপন করবেন) এটি অবশ্যই সমতল, হতে হবে।
২.বেডের নিচে BFS করলেই ভালো, তবে বেড ঢালাইয় এর পর যেন বসে না পরে সেভাবে তৈরী করতে হবে।
৩. রডের ডায়া, স্টিরাপ বা রিং এর স্পেসিং চেক করে নিতে হবে!
৪. স্যাটারিং মজবুত করে স্থাপন করা হয়েছে কিনা তা চেক করে নিতে হবে!
৫ .অবশ্যই পাইলের সাইজ সকল স্থানে সমান রাখতে যা কিছু করা দরকার সবই চেক করে নিতে হবে।
৬. পাইল অবশ্যই এক সূতায়, শলে, লেভেল এ রাখা আছে কিনা দেখতে হবে।
৭.পাইল সূ ডিজাইন অনুসারে বানানো আছে কিনা এবং লাগানো হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে।
৮.জয়েন্ট পাইল হলে পাইল জয়েন্ট ক্যাপ তৈরি করার সময় এটা তদারকি করতে হবে! এটা মোটামুটি কঠিন একটি কাজ। এটা সাইজ কম বেশি হলে পাইল সাইজ ও পরিবর্তন হয়ে যাবে, তাই এটা অনেক গুরুত্ব পুর্ন।
৯. জয়েন্ট দুটো স্থাপন করে তারপর ঢালাই করাই উত্তম, কারন আলাদা আলাদা অংশ ঢালাই করলে পরে জয়েন্ট করার সময় জয়েন্ট না মিলার সম্ভাবনা ই বেশি।
১০. অবশ্যই হুপার মেশিন দাড়া ঢালাই করা উত্তম, কারণ যত ভালো মিক্সড হবে তত ভাংগা সম্ভাবনা কমে আসবে।
১১. রেশিও এন শিউর করতে হবে। কেননা এটি একটি জটিলতর প্রক্রিয়ায় ড্রাইভ করা হয়।
১২.জয়েন্ট কেপ এর ডাওয়েল রড এর সাইজ ও ল্যান্থ নিশ্চিত করতে হবে।
১৩ .জয়েন্ট কেপ এর ঢালাইয়ের সময় উর্ধ্বমুখী অংশে হোল বা ফাঁকা নিশ্চিত করতে হবে। কেননা এটি দিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় এর ভিতরে মশলা পুর্নভাবে ঢুকছে কিনা! ফাকা থাকলেই হ্যানিকম থাকবে, তাতে করে ড্রাইভ করার সময় হ্যামার এর আঘাতে পাইল ভেঙ্গে যাবে।
২০” ডায়া পাইলের ইনফরম্যাশন ও এষ্টিমেট
পাইলের দৈর্ঘ্য = ৬০’-০”
পাইলের ডায়া = ২০”
পাইল কাভারিং = ৩”
পাইলের মেন রড = ৮-১৬ মিলি
পাইলের রিং = ১০ মিলি = ০.৩৭৫”
রিং দূরত্ব = ৫” পরপর
কাট অফ লেভেল = ২’-৬”
*ঢালাইয়ের পরিমান
= [{π(১’-৮”)^২}÷৪]x৬০’-০”
= ১৩১.৪২ ঘনফুট
মেইন রডের দৈর্ঘ্য
= (৬০’-০”)-(৩”x২)+৩’-০” (ল্যাপিং ৩’-০’)
= ৬২’-৬”
রিং রডের দৈর্ঘ্য
L=Nxπ(D+d)+8d
এখানে
N= রিং এর পরিমান বা রিং এর সংখা
D=পাইলের ডায়া কিলিয়ার কভার বাদ দিয়া
d=রডের ডায়া ইঞ্চতে
N= [{(৬০’-০)-(৩”x২+২’-৬”)}÷০’-৫”]+৪
= ১৪০.৮০
~ ১৪১ পিচ
D= (২০”-৩”x২)
= ১৪”
= ১’-২”
d= ১০ মিমি =০.৩৭৫”
L= [১৪১xπ{১৪”+০.৩৭৫}]+৮x০.৩৭৫
= ৬৩৭০.৬২ ইঞ্চ
= ৬৩৭০.৬২÷১২
= ৫৩০’-১০”
রডের পরিমান
মেইন রড = ৬২’-৬”x৮x০.৪৮ = ২৪০.০০
রিং রড = ৫৩০’-১০”x০.১৯ = ১০০.৮৬
মোট রড = ৩৪০.৮৬ কেজি