ভূমিকা
বাংলাদেশে দেড় শতাধিক প্রজাতির শাকসবজি জন্মে। সব শাক সবজি চাষ করা হয় না। কিছু শাকসবজি খাওয়া হয় বটে, তবে সেগুলো বুনো। গবেষকরা ২৭টি শাকসবজিকে প্রধান চাষকৃত শাকসবজি হিসেবে গণ্য করেছেন। তবে গোত্র অনুযায়ী হিসেব করলে এই সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে। যেমন শুধু কুমড়াগোত্রীয় সবজি আছে অন্তত ১২ রকম। যে শাকসবজিই হোক না কেন, তা কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে প্রধান ২৭টি শাকসবজির ইতোমধ্যে ৯৬টি রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। এসব রোগে প্রতি বছরই শাকসবজির বেশ ক্ষতি হয়। ক্ষতির পরিমাণ নেহায়েত কম নয়, মোট উৎপাদনের প্রায় ১০-১২%। কিন্তু শাকসবজির ক্ষতির জন্য কৃষকরা পোকা নিয়ে যতো ভাবেন, রোগ নিয়ে সেভাবে ভাবেন না। ভালো ফলনের জন্য শাকসবজির রোগ ব্যবস্থাপনাকেও গুরুত্ব দেয়া উচিত।
প্রায় কুড়ি বছর ধরে শাকসবজি উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে ও শাকসবজি চাষিদের সমস্যাগুলো দেখে দীর্ঘদিন ধরেই শাকসবজির রোগ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বই লেখার তাগিদ অনুভব করি। সে অনুযায়ী দীর্ঘসময় ধরে তথ্য-উপাত্ত ও অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করি। অবশেষে ‘শাকসবজির রোগ’ নামে এই বইটি লিখেছি। এই বইয়ে কুড়িটি অধ্যায়ের মধ্যে উনিশটি অধ্যায়ে বাংলাদেশের প্রধান শাকসবজিসমূহের পাশাপাশি কিছু অপ্রধান শাকসবজির রোগ নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। বইটিতে প্রতিটি সবজির শনাক্তকৃত রোগসমূহের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও রোগের কারণ উল্লেখ করেছি। প্রতিটি রোগের ক্ষতির লক্ষণ, রোগ কেন বাড়ে, কি করলে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব ও রোগ হলে কি করতে হবে- এসব বিষয়ে সংক্ষেপে হলেও প্রয়োজনীয় তথ্যটুকু বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি বিজ্ঞানের কঠিন ভাষা থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণের কোমল ভাষায় লিখতে। রোগ চেনার জন্য ষোলো পাতায় ৯৬টি রঙিন ছবিও দিয়েছি। কতটা সফল হয়েছি তার বিচার হবে বইটির তথ্য ব্যবহার করে সঠিকভাবে শাকসবজির রোগ ব্যবস্থাপনা করতে পারলে।
শাকসবজি চাষিরা তো বটেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও উদ্ভিদ রোগবিদ্যার ছাত্র- ছাত্রী, কৃষি ডিপ্লোমার ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীদেরও আশা করি বইটি কাজে লাগবে। বইটি লিখতে গিয়ে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য প্রকাশক মহোদয় আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। এজন্য সুযোগ থাকলেও বইটিকে বড়ো করার প্রয়াস করিনি। আশা করি, বই ছোট হলেও অনেকের বড় প্রয়োজনও এই বই থেকে মিটতে পারে। তারপরও বইটিতে আরও কিছু তথ্য সংযোজন অথবা পরিমার্জনের সুযোগ থেকে গেল, কিছু ভুলও থাকতে পারে। কেউ এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দিলে উপকৃত হব।
বইটি লিখতে যারা উৎসাহিত করেছেন তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। বই লিখলেই তা সবার কাছে যায় না বা সবাই পড়তে পারে না। সেজন্য বইয়ের প্রকাশ চাই। প্রান্ত প্রকাশনীর স্বত্তাধিকারী জনাব মোঃ আমিনুর রহমান কম বিক্রি হবে জেনেও এ ধরনের একটি বই বের করার যে সাহস দেখিয়েছেন এজন্য তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তবে এ কথাও সত্য, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি আমার লেখা কৃষি বিষয়ক বইগুলোর মধ্যে ফসল সংরক্ষণের তথা রোগ-পোকার বই তুলনামূলকভাবে বেশি বিক্রি হয়। সেদিক থেকে আশা করি পাঠকবৃন্দ প্রকাশককে নিরাশ করবেন না।
মৃত্যুঞ্জয় রায়
সূচিপত্র
অধ্যায় ১: শাকসবজির রোগ # ০৯
অধ্যায় ২: বেগুনের রোগ # ২৪
অধ্যায় ৩: টমেটোর রোগ # ৫২
অধ্যায় ৪: আলুর রোগ # ৬৪
অধ্যায় ৫: কুমড়াগোত্রীয় সবজির রোগ # ৭৯
অধ্যায় ৬: শিমগোত্রীয় সবজির রোগ #৮৭
অধ্যায় ৭: ঢেঁড়শের রোগ # ৯৩
অধ্যায় ৮: কপিগোত্রীয় সবজির রোগ # ১০০
অধ্যায় ৯: মিষ্টি আলুর রোগ # ১০৮
অধ্যায় ১০: মেটে আলুর রোগ # ১১৫
অধ্যায় ১১: কচুর রোগ # ১১৯
অধ্যায় ১২: গাজরের রোগ # ১২৫
অধ্যায় ১৩: ডাটা ও লালশাকের রোগ # ১২৯
অধ্যায় ১৪: পালংশাকের রোগ # ১৩২
অধ্যায় ১৫: লেটুসের রোগ # ১৩৭
অধ্যায় ১৬: পুঁইশাকের রোগ # ১৪১
অধ্যায় ১৭: গিমাকলমির রোগ # ১৪৩
অধ্যায় ১৮: শালগমের রোগ # ১৪৪
অধ্যায় ১৯: সজিনার রোগ # ১৪৮
অধ্যায় ২০: শিমুল আলুর রোগ # ১৫০
আমাদের ফেসবুক পেজ 👉 Siraj Tech Facebook
ছাদ বাগান করার জন্য জিও ব্যাগের অর্ডার করতে = Geo Grow Bag
ছাদ বাগানের বিভিন্ন সরঞ্জাম। 👉 HIGH QUALITY GARDENING TOOLS
গাছের জন্য বিভিন্ন জৈব কীটনাশক। 👉 ORGANIC FERTILIZERS AND PESTICIDES
Reviews
There are no reviews yet.